dhaka train1

ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেন নতুন সময়সূচী এবং ভাড়া

ঢাকা টু  চট্টগ্রাম ট্রেন নতুন সময়সূচী এবং ভাড়াঃ আপনারা যারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাতায়াত করার জন্য বিভিন্ন সাইটে অনুসন্ধান করে থাকেন। তাদের জন্য একটি সুখবর হচ্ছে খুব সহজভাবে সুন্দর করে আপনারা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কিভাবে যাবেন তার বিস্তারিত তথ্য আমরা আপনার জন্য উপস্থাপন করলাম।

 চট্টগ্রাম হচ্ছে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক প্রবেশদ্বার। বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন রকম পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশের প্রবেশ করে থাকে। যার কারণে প্রতিনিয়ত সর্বোচ্চ লোকের সমাগম হয় চট্টগ্রাম।

সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ট্রেন ছাড়া অন্য কোন পরিবহন সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত করতে হবে।

তার প্রধান কারণ হচ্ছে, পরিবহন সার্ভিসের মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরে যেকোনো বাস প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সময় নিয়ে প্রবেশ করে যে ক্ষেত্রে আপনার মূল্যবান সময় রাস্তার মধ্যে অপচয় হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আপনাকে ট্রেনে যাতায়াত করতে হবে।

dhaka train2

পরিচিতি ও রুটম্যাপ 

ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন পর্যন্ত মোট দূরত্ব 340 কিলোমিটার সে ক্ষেত্রে যাত্রাপথে ট্রেনগুলো প্রায় দশটি স্টেশনে তারা স্টপেজ দিয়ে থাকে।এছাড়া উল্লেখিত ট্রেনটি কোন কোন স্টেশনে স্টপেজ দিয়ে থাকে আপনাদের সুবিধার জন্য উল্লিখিত স্টেশনগুলোর নাম উপস্থাপন করলাম।

ঢাকা থেকে ঢাকা বিমানবন্দর তারপর ভৈরব স্টেশন তারপরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন তারপরে আখাউড়া স্টেশন তারপরে কুমিল্লা স্টেশন তারপরে লাকসাম স্টেশন তারপরে গুনবতি স্টেশন তারপরে নিয়ে স্টেষন তারপরে চট্টগ্রাম পৌঁছে।

ঢাকা টু  চট্টগ্রাম দূরত্ব

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রেলপথের দূরত্ব হচ্ছে 340 কিলোমিটার এবং সড়ক পথের দূরত্ব হচ্ছে 295 কিলোমিটার।এছাড়া আপনি আকাশ পথে যাতায়াত করতে পারেন তবে বর্তমান বাণিজ্যিক প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম তাই ঢাকা থেকে অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে যাতায়াত করে থাকে চট্টগ্রাম।

সে ক্ষেত্রে সবচাইতে উন্নত ট্রেন গুলি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাতায়াত করে থাকে। তাই আপনি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সহীদ ঝুঁকিবিহীন জার্নি করতে চাইলে, আপনাকে অবশ্যই ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ট্রেনের টিকিট বুকিং করতে হবে। এবং ট্রেনের টিকেট কিভাবে বুকিং করবেন, কোন ট্রেনের ভাড়ার তালিকা কত ? সকল কিছু দেখে আমাদের এখানে আপনি ট্রেনের টিকেট বুকিং করতে পারবেন। 

ঢাকা টু  চট্টগ্রাম যেতে কত সময় লাগে?

আন্তঃনগর ট্রেনে আপনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ট্রেনে যাত্রা করে থাকলেই আপনার সুবর্ণ এক্সপ্রেস সর্বোচ্চ সময় নেবে 5 ঘন্টা 30 মিনিট। এছাড়া আপনি যদি মহানগর এক্সপ্রেস এর যাতায়াত করেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার সময় লাগবে 6 ঘন্টা 30 মিনিট।

এছাড়া মহানগর প্রভাতি আপনাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে সময় লাগবে 5 ঘন্টা 45 মিনিট। এছাড়া আপনি যদি তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে যাতায়াত করেন তাহলে আপনার সময় লাগবে 6 ঘন্টা 30 মিনিট। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস সময় নিবে 5 ঘন্টা 15 মিনিট চট্টগ্রাম পৌঁছাতে। 

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম সাধারণত মেল ট্রেন গুলি যাতায়াত করে থাকে তবে একটু সময় বেশি লেগে থাকে তারা যাত্রাপথে বিভিন্ন স্টেশনে তাদের বিভিন্ন বগি চেঞ্জ করে যাতায়াত করে। এছাড়া সময়ের ক্ষেত্রে অনেক সময় লেগে যায় অর্থাৎ প্রায় 9 ঘণ্টা সময় লাগে। সে ক্ষেত্রে আপনার উপযুক্ত যাতায়াত মাধ্যম উপরের ট্রেন গুলিতে আপনি অনায়াসে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সম্পূর্ণ নিরাপদে যাতায়াত করতে পারেন। 

সুবর্ণ এক্সপ্রেস

সুবর্ণ এক্সপ্রেস 701- 702 বাংলাদেশ রেলওয়ে বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন।সুবর্ণ এক্সপ্রেস কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিকাল চার ঘটিকার সময় চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায় এবং তা চট্টগ্রামে গিয়ে পৌঁছায় রাত 9 টা 15 মিনিটে। এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস সন্ধ্যা সাতটায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায় 12 টা 20 মিনিটে। সুবর্ণ এক্সপ্রেস এর সাপ্তাহিক ছুটির দিন হচ্ছে  সোমবার। সুবর্ণ এক্সপ্রেস এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনটি বিরতিহীন ট্রেনের মধ্যে তার মধ্যে সুবর্ণ এক্সপ্রেস হচ্ছে একটি।

সোনার বাংলা এক্সপ্রেস

 সোনার বাংলা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন বিরতিহীন ট্রেন ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল সাতটায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয় এবং চট্টগ্রাম গিয়ে পৌঁছায় দুপুর 12 টায়। চট্টগ্রাম থেকে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস আরেকটি বিকাল 5 টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায় 10:20  মিনিটে। 

তূর্ণা এক্সপ্রেস

এটিও উল্লেখযোগ্য মেইল ট্রেনের মধ্যে তিনটির মধ্যে একটি বিরতিহীন ট্রেন। এট্রেন ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয় রাত 11:00 মিনিটে এবং চট্টগ্রামের পৌঁছায় 6:00 .

মহানগর এক্সপ্রেস

মহানগর এক্সপ্রেস ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের মধ্যে বিলাসবহুল একটি ট্রেন ট্রেনে আপনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে চাইলে ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে নয়টা 20 মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এবং চট্টগ্রাম গিয়ে স্টেশনে পৌঁছার 4:50  মিনিটে ।মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হচ্ছে রবিবার। এছাড়া ট্রেনটি উদ্বোধন করা হয়েছিল  1985 সালের 4ডিসেম্বর।

মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস

মহানগর প্রভাতি এক্সপ্রেস ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে সকাল 7 টা 45 মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রামে গিয়ে পৌঁছায় দুপুর 2 টা 50 মিনিটে।

ঢাকা টু  চট্টগ্রাম ট্রেনের নতুন সময়সূচী

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সবচাইতে একটি উন্নত মাধ্যম হচ্ছে আন্তনগর ট্রেন সার্ভিস। এই ট্রেন মূলত ঢাকা থেকে প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট একটি সময়ে মোতাবেক যাতায়াত করে থাকে। যাতায়াতের এই সকল নতুন সময়সূচী নিচে উল্লেখ  করলাম।

আরওপড়ুন>>>ঢাকা থেকে পোড়াদহ ট্রেনের নতুন সময়সূচী এবং ভাড়া

আরওপড়ুন>>>ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ ট্রেনের নতুন সময়সূচী এবং ভাড়া

আরওপড়ুন>>>ঢাকা থেকে যশোর ট্রেনের নতুন সময়সূচী এবং ভাড়া

আরওপড়ুন>>>ঢাকা থেকে কুমিল্লা ট্রেনের নতুন সময়সূচী এবং ভাড়া

আরওপড়ুন>>>ঢাকা থেকে পঞ্চগড় ট্রেনের নতুন সময়সূচী এবং ভাড়া

ট্রেন নং         ট্রেনের নাম      ছাড়ার সময়     পৌছায়       ছুটির দিন

৭৪২           তূর্ণা এক্সপ্রেস           ২৩:৩০          ০৬:২০          নাই

৭৮৮   সোনার বাংলা এক্সপ্রেস    ০৭:০০            ১২:১৫        বুধবার

৭০৪         মহানগর প্রভাতী        ০৭:৪৫             ১৪:০০          নাই

৭২২         মহানগর এক্সপ্রেস     ২১:২০           ০৪:৫০       রবিবার

ঢাকা টু  চট্টগ্রাম ট্রেনের টিকেটের মূল্য

 সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে আপনি কিভাবে কোন সময় আপনার যাত্রাপথ সঠিকভাবে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আপনি অনলাইনে ঘরে বসে ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়া ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশনে চট্টগ্রামগামী সকল ট্রেনের ভাড়া সমূহ নিম্নে উল্লেখ করলাম। Refarens-sportsnet24

আসন বিভাগ            টিকিটের মূল্য

শোভন                       ২৮৫টাকা

শোভন চেয়ার             ৩৪৫টাকা

প্রথম সিট                   ৪৬০টাকা

প্রথম বার্থ                   ৬৮৫টাকা

স্নিগ্ধা                         ৬৫৬টাকা

এসি সিট                    ৭৮৮টাকা

এসি বার্থ                   ১১৭৯টাকা

উপরে উল্লেখিত   টিকিটের মূল্য সঠিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী পছন্দ অনুযায়ী আপনি টিকেট সংগ্রহ করে ট্রেনে উঠবেন।

পরিশেষে,

সুপ্রিয় যাত্রী ভাইয়েরা আপনাদের উদ্দেশ্যে আমি একটি কথাই বলবো। তা হচ্ছে সবচাইতে কম সময়ে কম টাকায় টিকেট সংগ্রহ করে এবং আরামদায়ক ভাবে নির্ভেজাল মুক্ত যোগাযোগের প্রধান সার্ভিস হচ্ছে এই ট্রেনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম যাওয়া। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *