বিজয় দিবস ২০২২ [বাঙালি জাতির গৌরবের একটি দিন]

১৬ ই ডিসেম্বর, বিজয় দিবস, শুভেচ্ছা,বাণী,এসএমএস,ফেসবুক স্ট্যাটাস, কবিতা, আবৃতি এবং গান উল্লেখিত বিষয়সমূহ শত কষ্ট এবং ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময় আমাদের মনে এনে দেয় অনাবিল এক আনন্দঘন মুহূর্ত একটি সময়।যে সময়কে মনেপ্রাণে স্মরণ করে আজকে আমাদের সকল এই আয়োজন উপস্থাপন করলাম আপনাদের জন্য। 

১৬ ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতির গৌরবের একটি দিন এবং বিজয়ের মাস। এই দিনটি বাঙালিরা দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে,30 লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে আনে ১৬ ডিসেম্বর তথা বিজয়ের দিন। 

সেদিন মা পাগল হয়েছে সন্তানকে হারানোর বেদনায়, বাবা পাগল হয়েছে তার পরিবারকে হারানোর বেদনায়, একজন ভাই পাগল হয়েছে তার চোখের সামনে বোনকে হারানোর বেদনায়, এসকল কিছু হারানোর মধ্যে যেন চরম সার্থকতা বিরাজ করে তা হচ্ছে আমাদের এই মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। 

এই বিজয়ের মাস সম্পর্কে শুধু একটি কথা বারবার আমাদের মনেপ্রাণে তথা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে নাড়া দিয়ে যায় তা হচ্ছে, সত্যের সৈনিক দেশ ও জাতির গৌরবের সৈনিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তার নেতৃত্বে সকল অসম্ভবকে সকল কিছু বিসর্জন দিয়ে সম্ভব করা হয়েছে। 

যা বিশ্বের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণের অক্ষরে যে মানুষটির নাম লেখা আছে তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের গভর্নর তথা  সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গনের ভয়-ভীতি সকল কিছু অপেক্ষা করে যে মানুষটি এদেশের সম্মান রক্ষা করেছেন তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বিজয় দিবস কি ?

১৯৭১ সালে তৎকালীন সময়ে পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ইয়াহিয়া খানের সাথে রাষ্ট্রের সকল কার্যাবলী পরিচালনা করার ক্ষেত্রে মতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময় আমাদের অর্জিত হয় যে স্বাধীনতা। তাকেই বলা হয় বিজয় দিবস।

বিজয় দিবস কেন পালন করা হয় ?

বিজয় দিবস পালন করার একমাত্র প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে যে, এই দিবস অর্জন করার ক্ষেত্রে বাঙালি জাতি তদানীন্তন সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে সর্বস্বান্ত হয়ে উক্ত সময়ে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময় স্বাধীনতা অর্জিত হওয়ার পর।১৯৭১  সালে ১৬ ই  ডিসেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষণা করা হয়। প্রত্যেক বছর ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা দিবস কিংবা বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হবে এই মুহূর্ত থেকে উক্ত বিজয় দিবস সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা ভক্তি বিনিময় স্মরণ করা হয় প্রতিবছর। 

কততম বিজয় দিবস ২০২৪?

16 ডিসেম্বর 2022 সালে কততম বিজয় দিবস? এটা অধিকাংশ মানুষ প্রতিনিয়ত জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন।এছাড়া ডিসেম্বর মাস আসলেই আমাদের অন্তরে নাড়া দিয়ে থাকে সেই অতীতের স্মৃতিময় ফেলে আসা অত্যন্ত কঠিন যুদ্ধের দিনগুলি। এবং আমরা 16 ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালন করার নিমিত্তে সকলের মধ্যে এটাও প্রকাশ করে থাকি যে, আজকে আমরা 2022 সালের 16 ডিসেম্বর মহান বিজয়ের দিন অর্থাৎ কততম বিজয়ের দিন উদযাপন করছি? তাই এবারের 16 ডিসেম্বর 2022 এ 52 তম বিজয় দিবসে উপস্থিত হয়েছি।

বিজয় দিবস ২০২৪

মহান বিজয় দিবস 2022 উপলক্ষে পালন করার নিমিত্তে 16 ডিসেম্বর  রোজ শুক্রবার সকাল 9 ঘটিকার সময় এলজিইডি সদর দপ্তর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণে পুষ্প অর্পণের মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের  সকল কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর সদর দপ্তরে কর্মরত সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসের সকল কার্যক্রম শুরু করার লক্ষে সকাল 9 ঘটিকায় সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিজয় দিবসের পোস্টার ডিজাইন

বাঙালি জাতির মহান একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন হচ্ছে বিজয় দিবস। এই বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের সকল রাজনীতিবিদ তারা তাদের দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রকার পোস্টার ডিজাইন তৈরি করে থাকে। বিশেষ করে সকল দলের সংসদ সদস্য অর্থাৎ এমপি-মন্ত্রীরা তারা বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে পোস্টার ডিজাইন তৈরি করে থাকে। তাই আমরা এমন কিছু 2022 এর নতুন সেরা পোস্টার ডিজাইন কালেকশন এখানে উপস্থাপন করেছি। এখান থেকে আপনার বিজয় দিবসের পোস্টার ডিজাইন সিলেক্ট করে নিয়ে তারপর আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী আরো আকর্ষণীয় ডিজাইন করে তা তৈরী করে নিতে পারেন।  

16 December Great Victory Day Pictures

16 December Great Victory Day Pictures-5

16 December Great Victory Day Pictures-3

16 December Great Victory Day Pictures-2

16 December Great Victory Day Pictures-4

16 December Great Victory Day Pictures-1

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের পিকচার

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের 20 কোটি জনগণ তাদের বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষে বিভিন্ন শ্রেণীর নেতাকর্মীরা তাদের বিজয়ের আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করার নিমিত্তে বিজয় দিবসের পিকচার অনুসন্ধান করে থাকেন। আমরা এখানে 2022 সালের সেরা বিজয় দিবসের নতুন পিকচার উপস্থাপন করেছি। আপনার প্রয়োজনের তাগিদে ব্যবহার করে আরও বেশি আনন্দিত হয়ে মহান বিজয় দিবস 16 ডিসেম্বর পালন করতে পারেন।

বিজয় দিবসের পিকচার

বিজয় দিবসের পিকচার-1

বিজয় দিবসের পিকচার-3

বিজয় দিবসের পিকচার-4

বিজয় দিবসের পিকচার-5

বিজয় দিবসের পিকচার-6

বিজয় দিবসের পিকচার-7

বিজয় দিবসের পিকচার-9

বিজয় দিবসের পিকচার-8

বিজয় দিবসের পিকচার-10

বিজয় দিবসের পিকচার-11

বিজয় দিবসের পিকচার-12

৫০ তম বিজয় দিবস

৫০ তম বিজয় দিবস হচ্ছে বাঙালি জাতির চিরস্মরণীয় একটি অন্যতম বিশেষ দিন। যেদিন টি কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বলময় একটি দিন।বাংলাদেশের সর্বপ্রথম 50 তম বিজয় দিবস উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালন করা হয়। এবং সেইসাথে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের 100 তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয় বিজয়ের এই দিনটিতে।

বাংলাদেশ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময় 1971 সালের 16 ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের দিনে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল. এবং তখন থেকে 16 ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসায় বাংলাদেশ 50 তম বিজয় দিবস উদযাপন করে।

50 তম বিজয় দিবস হচ্ছে হচ্ছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের 50 বছর পূর্তি উপলক্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব এবং সেইসাথে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উৎসব পালিত হয়।

বিজয় দিবস কি এবং কেন?

পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এবং বাঙালি জাতির সাথে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় 9 মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে 16 ডিসেম্বরকে বিজয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করে থাকেন।

পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ রক্তক্ষয়ী ভয়ংকর যুদ্ধ  যা 1971 সালে সংঘটিত হয়েছিল। ওই যুদ্ধে বাঙালি জাতির ধন সম্পদ ইজ্জত ঘরবাড়ি সকল কিছু লুটপাট করে নিয়ে যায় পশ্চিম পাকিস্তান হানাদার বাহিনীরা. তার পরেও তাদের সাথে মহাযুদ্ধে জয় লাভ করে থাকেন বাংলাদেশের বাঙালি জাতিরা।তাদের স্বাধীনতার এই দিনটিকে চির অমর করে রাখতে তখন থেকেই 16 ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।

বিজয় দিবস ২০২৪ কবে?

বিজয় দিবস 2022 সালের 16 ডিসেম্বর অর্থাৎ রোজ শুক্রবার পালিত হবে।এই দিনটি বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। এছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি এবং সকল সংসদ সদস্যবৃন্দরা তারা তাদের সেই সকল বীর শহীদ সেনাদের সম্মান জানাতে সকল ধরনের আয়োজন করে থাকেন।

বিজয় দিবস 2022 কেন পালন করব?

বাংলাদেশের অন্যতম গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাসের একটি বিশেষ দিন তা হচ্ছে 16 ডিসেম্বর। বিশেষ এই দিনটিতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীরা তারা তাদের যুদ্ধের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে বাঙালির কাছে আত্মসমর্পণ করে পশ্চিম পাকিস্তান চলে যান যার ফলে বাঙালি জাতির এই দিনটিকে  অর্থাৎ 16 ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

অসংখ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত 16 ই ডিসেম্বর তাই বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিশেষ ছুটির দিন হিসেবে উল্লেখিত দিনটিতে সকল আনন্দ উৎসব উদযাপন করে থাকে সকল শ্রেণীর বাঙালিরা। তাই আপনি যদি বাঙালি হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বিজয় দিবস পালন করা উচিত। কারণ নিজের রক্তকে যেমনিভাবে অস্বীকার করা যায় না। ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতাকে কখনোই অস্বিকার করা সম্ভব নয়।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস (ভ্যালেন্টাইন্স ডে) শুভেচ্ছা,এসএমএস, ছন্দ এবং ফেসবুক স্টাটাস 2022

বিজয় দিবস ২০২৪ শুভেচ্ছা

বিজয় দিবস মূলত বাঙালি জাতির গৌরব এর একটি দিন যে  দিনটি অর্জন করতে গিয়ে শত কোটি বাঙালি নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে, রক্তের  বিনিময়ে অর্জিত মহান বিজয় দিবস। আর এই বিজয় দিবস উপলক্ষে আপনারা যারা শুভেচ্ছা বাণী একজন আরেকজনের মধ্যে বিনিময় করে থাকেন। তাদের জন্য এই দিবসের শুভেচ্ছা বাণী গুলো উপস্থাপন করা হলো।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস 

বিজয় দিবস ২০২৪ মহামূল্যবান বাণী

বিজয় দিবস উপলক্ষে মহামূল্যবান কিছু বাণী আপনাদের জন্য উপস্থাপন করলাম। যে মূল্যবান বাণী গুলো বিজয় দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করলে সত্যিকার অর্থে তখন মনে হয় ঠিক আমরা যেন আমাদের সেই ভয়ঙ্কর ১৯৭১ সালের যুদ্ধের বাস্তব সময় পার করছি।এছাড়া আমরা বাঙালি জাতি যাদের রক্তের বিনিময় এই বিজয় আমরা পেয়েছি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাণী আবৃতি করে শোনানো হয়ে থাকে।

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস

বিজয় দিবস ২০২৪ এসএমএস

সত্যিকার অর্থেই একজন ব্যক্তির মনের মধ্যে কতটুকু দেশের ভালোবাসা এবং স্বাধীনতার সেই ভয়ঙ্কর যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে কতটুকু আমরা আজকে আমাদের এই বিজয় দিবস পালন করতে পারলাম এই বিষয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ সহকারে বিভিন্ন ব্যক্তি বিশেষে বিজয় দিবসের এসএমএস প্রদান করা হয়ে থাকে যার বিনিময়ে অর্জিত আমাদের আজকের এই স্বাধীনতা।

আজ বিশ্ব হিজাব দিবস

বিজয় দিবস ২০২৪ ফেসবুক স্ট্যাটাস

১৬ ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতি তথা সারা বিশ্বের  কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর গৌরবের একটি দিন। এই দিনটিকে উদ্দেশ্য করে আপনি নিমিষের মধ্যে আপনার অবস্থানে থাকা কিছু ফেসবুক স্ট্যাটাস আপনি সারা পৃথিবীবাসীকে জানিয়ে দিতে পারেন। আমাদের এই বিজয়ের মাস গৌরব অর্জনের মাস কতশত ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে।

আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস

বিজয় দিবস ২০২৪ কবিতা এবং আবৃত্তি

বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে কবিতা এবং আবৃত্তি। উক্ত কবিতা আবৃত্তি দিয়ে বিজয় দিবসের সেই অন্ধকারময় দিনগুলির কথা তুলে ধরে মুহুর্তের মধ্যে সকল মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয় কল্পনার সেই ভয়ঙ্কর যন্ত্রণার দিন গুলির মধ্যে।

বিশ্ব জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ দিবস 2022

বিজয় দিবস ২০২৪ গান

বিজয় দিবসের দিন স্বাধীনতার সেই চির অমর গান গুলো একবার শুনলে মনে হয় সত্যিকার অর্থে আমরা সেই মহান স্বাধীনতা অর্জনকারি দিনগুলিতে অবস্থান করছি। যারা সর্বোচ্চ অবদান রেখে চিরবিদায় নিয়ে এই পৃথিবী থেকে চলে গেছে তাদের স্মরণে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বিজয় দিবসের সকল গানগুলো আপনাদের জন্য সংগ্রহ করা হলো। 

বিজয় দিবস ২০২৪ চিরন্তনসত্য কিছু কথা 

নিঃস্বার্থ মানুষটি হচ্ছেন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময় কখনই অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি, কখনো অন্যের  কাছে মাথা নত করেননি।তার ব্যক্তিগত জীবনের সকল চাওয়া পাওয়াকে বাঙালি জাতির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ বিসর্জন দিয়ে ছিনিয়ে এনেছিলেন বিজয়ের মালা। অর্থাৎ মহান ১৬ ডিসেম্বর। 

তৎকালীন সময়ে বাঙালি জাতির এই গৌরব অর্জন করতে গিয়ে একটি মানুষের কথা বার বার মনে পড়ে যায় যে মানুষটি কখনোই নিজের স্বার্থের কথা ভাবতেন না শুধুই ভাবতেন এ দেশ জাতি সমাজ তথা বাংলাদেশের বাঙ্গালীদের কথা। যার সুযোগ্য নেতৃত্বে এর মাধ্যমে সততার সাথে নিষ্ঠার সাথে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে জানমাল সকল কিছু বিসর্জন দিয়ে স্বপ্নের এই বাংলাদেশ রক্ষা করতে গিয়ে

হাজার মানুষের ইজ্জতের বিনিময়ে প্রাণের বিনিময়ে যে দিনটি আমরা আজকে উদযাপন করে থাকি। বিজয়ের দিন হিসেবে ঘোষণা করে থাকি। সকল কিছু পাওনা যেন পেয়ে থাকি ওই মানুষটির সুনিদৃষ্ট দিক নির্দেশনার জন্য।আজকে আমরা বাঙালি জাতি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান তথা জাতি সংঘের সকল কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সংযুক্ত থেকে এ দেশ ও জাতিকে উন্নতির দিকে অগ্রসর হতে সক্ষম হচ্ছে

একমাত্র অবদান হচ্ছে তার তিনি আর কেউ নন তিনি হচ্ছেন আমাদের প্রিয় মানুষ জাতির মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।সত্যিকার অর্থে একজন ভালো নেতৃত্ব দানকারী নেতা থাকলে সেদেশের সকল অপকর্ম এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। তারই একটি বাস্তব নিদর্শন হচ্ছে আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। Refarens-sportsnet24

বিজয় দিবস নিয়ে প্রশ্ন

বিজয় দিবস নিয়ে শতকরা 99 ভাগ সকল ধরনের পরীক্ষায় যেসকল প্রশ্নগুলো নিয়মিতভাবে পরীক্ষায় এসে থাকে তারই ধারাবাহিকতা  অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর সহ এখানে প্রকাশ করা হয়েছে। যা অবশ্যই আপনার পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকবে। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস বাঙালি জাতিরা তাদের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে জয় লাভ করে থাকেন প্রধানত সেই দিনটি হচ্ছে 16 ডিসেম্বর  অর্থাৎ বিজয় দিবস।  

১। প্রশ্নঃ 16 ই ডিসেম্বর কে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় কবে?

উত্তরঃ  ১৯৭২  সালের 22 শে জানুয়ারিতে প্রকাসিত প্রজ্ঞাপনে।

২। প্রশ্নঃ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকার কোথায় সর্বপ্রথম আত্মসমর্পণ করে?

 উত্তরঃ  সরোয়ারদী উদ্যানে (রেসকোর্স ময়দান)

৩। প্রশ্নঃ 16 ডিসেম্বর বিজয় দিবসে কতজন পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করে?

উত্তরঃ ৯১,৬৩৪ জন মতান্তরে ৯৩,০০০  জন সদস্য।

৪।  প্রশ্নঃ পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কে আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করে?

উত্তরঃ  জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী।

৫।  প্রশ্নঃ  আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর প্রধান কে ছিলেন?

 উত্তরঃ  জেনারেল জগজিৎ সিং আরোরার।

৬। প্রশ্নঃ বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন কবে শহীদ হন?

 উত্তরঃ ১০ ই  ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে।

৭। প্রশ্নঃ ১৬ ই  ডিসেম্বর কি দিবস?

 উত্তরঃ  বিজয় দিবস।

৮।  প্রশ্নঃ  বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ড গঠন করা হয় কবে?

 উত্তরঃ ৩  ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে।

৯। প্রশ্নঃ  কখন পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে?

 উত্তরঃ ১৪ ই  ডিসেম্বর ১৯৭১  সালে।

১০।  প্রশ্নঃ স্বাধীনতার যুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম শত্রুমুক্ত হয় কোন জেলাটি?

উত্তরঃ  বাংলাদেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা হয়েছিল যশোর 1971 সালের 6 ডিসেম্বর পাক বাহিনী মুক্ত হয়। এজন্য যশোর কে প্রথম স্বাধীন জেলা বলে। 

১১। প্রশ্নঃ  সর্বপ্রথম কে ভারত থেকে আত্মসমর্পণ দলিল নিয়ে আসেন?

 উত্তরঃ  মেজর জেনারেল জ্যাকব।

১২। প্রশ্নঃ  আত্মসমর্পণকারী পাকিস্তানী  যুদ্ধবন্দীদের কোথায় নেওয়া হয়?

উত্তরঃ  ঢাকা সেনানিবাসে।

১৩।  প্রশ্নঃ নোয়াখালী মুক্ত দিবস কবে?

 উত্তরঃ ৭ ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে।

১৪। প্রশ্নঃ  স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে  সর্বপ্রথম স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশ কোনটি?

 উত্তরঃ ভুটান।

১৫।  প্রশ্নঃ  স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে  স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশ কোনটি?

 উত্তরঃ  ভারত।

১৬।  প্রশ্নঃ বাংলাদেশকে কত তারিখে স্বীকৃতি প্রদান করে ভুটান?

 উত্তরঃ ৬ ই  ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে।

১৭। প্রশ্নঃ  কত তারিখে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়?

 উত্তরঃ ৬ ই  ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে (ভুটানের 4 ঘন্টা পরে)।

১৮। প্রশ্নঃ সর্বপ্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয় কোথায়?

 উত্তরঃ  ঢাকার মিরপুরে।

১৯।  প্রশ্নঃ  বিজয় দিবসের কতদিন পর ঢাকার মিরপুর স্বাধীন হয়?

 উত্তরঃ ৪৫  দিন পর (১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *