ভালোবাসা দিবসের নিউ পিক ২০২৪

ভালোবাসা দিবসের নিউ পিক ২০২৪ [সেরা কালেকশন]

ভালোবাসা দিবসের নিউ পিক ২০২৪-উল্লেখিত সকল বিষয় সমুহ নির্ভর করে সেই বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের দিনটি ঘিরে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস একটি বার্ষিক উৎসবের দিন।যা প্রতিবছর 14 ই ফেব্রুয়ারি নির্দিষ্ট এই দিনে ভালোবাসা এবং অনুরাগ এর মধ্য দিয়ে এই দিনটি সর্বোচ্চ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হয় সারা বিশ্বব্যাপী।

প্রথমদিকে এটি সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স নামক একজন অথবা দুজন  খ্রিষ্টান শহীদ কে সম্মান জানাতে খ্রিস্টীয় ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে কালের বিবর্তনে লোকঐতিহ্যের  পরশের মধ্যে দিয়ে এটি বিভিন্ন দেশে ধীরে ধীরে প্রেম ও ভালোবাসার সাংস্কৃতিক,ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক একটি আনুষ্ঠানিক দিবসে পরিণত হয়। 

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস

ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স নামে একজন খ্রিস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচারের অভিযোগে তৎকালীন রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান শহরে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার সম্পূর্ন নিষেধ ছিল।

বন্দী অবস্থায় তিনি জৈনক কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর জনপ্রিয়তা বেড়ে  যায়। আর তাই তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুদণ্ডের ওই দিন ছিল 14 ই  ফেব্রুয়ারি। পরবর্তীতে ওই দিনটিকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।


ভালোবাসা দিবসের নিউ পিক ২০২৪

বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে অর্থাৎ এই দিনে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের মানুষ একজন আরেকজনকে অন্তরের অন্তরস্থল থেকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের নতুন ছবি উপহার স্বরূপ দিয়ে থাকেন।

ভালোবাসা ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত তাই আমরা তাঁরই সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ সুন্দর এই পৃথিবীতে আপনি মন থেকে আপনার যেকোন প্রিয় জন মানুষকে ভালোবেসে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে উক্ত বিভিন্ন ধরনের পিকচার ছবি গুলো ডাউনলোড করে ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারেন।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সকল আয়োজন ভরে উঠুক আপনার আমার তথা পৃথিবীর সকল মানুষের অন্তরে।ভালোবাসা আছে বলেই আজকে পৃথিবী এত সুন্দর। এই ভালোবাসার জন্য আপনি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে আপনার সকল আপনজনদের মাঝেই হোক সে আপনার বোন হোক সে আপনার ভাই হোক সে আপনার প্রতিবেশী কিংবা মনের মানুষ সকল জনদের কাছে ওই দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে,

বিভিন্ন মাধ্যমে আপনি শুভেচ্ছা বিনিময় বিভিন্ন ছন্দ বিভিন্ন এসএমএস রোমান্টিক কবিতা প্রকাশ করে আপনি ওই দিনটি পালন করতে পারেন।তাই এই দিনটি শুধু তরুণ সমাজের জন্য প্রভাব বিস্তার করে তার নয় সকল শ্রেণীর পেশাজীবী মানুষ আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সকলের মধ্যে অনুভব করে থাকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ওই দিনটি।

14 ই ফেব্রুয়ারি প্রসঙ্গ 

14 ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস প্রসঙ্গে একটি বিষয় বারবার মনের মধ্যে নাড়া দিয়ে যায়, পৃথিবীর সৃষ্টি লগ্ন থেকে পৃথিবী ধ্বংস অবধি পর্যন্ত মাঝখানে এই সময়টুকুতে সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টির সকল কিছুর মধ্যে ভালোবাসার পরশ এমনভাবে দান করেছেন যার কাছে আমরা সকলেই মন থেকে অত্যন্ত দুর্বলতা প্রকাশ করি।

আর এই দুর্বলতা কে ঘিরে একজন আরেকজনকে দিয়ে তাকে ভালোবাসা নামক সকল যন্ত্রণার পাহাড়। যেখানে প্রত্যেকটি মানুষ নীরবে-নিভৃতে সহ্য করে যায় না পাওয়া ভালোবাসার সকল অনুভূতিটুকু। তাই আসুন 14 ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করতেই হয় তাহলে আমরা উক্ত দিবসটি পালন করব।

আমাদের জন্মদাতা পিতা মাতা ভাই বোন আত্মীয়স্বজন পরিচিত বন্ধুবান্ধব সকল স্তরের মানুষ সকল ভাবে একজন আরেকজনকে সুখে দুখে বিপদে-আপদে সকল কর্ম ক্ষেত্রে ভালোবেসে তাদেরকে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার বাস্তব পরিকল্পনাগুলোকে নিয়ে বাস্তবায়ন করে এই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ অতি সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করবে।

এটাই হচ্ছে আমাদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের স্লোগান কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির এই আধুনিক যুগে ভালোবাসা মানেই তার কাছের মানুষের কাছ থেকে কিছু পাওয়া কিছু দেওয়া আদান-প্রদান এবং ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসা নামক সকল নোংরামি যাবতীয় কার্যাবলী হচ্ছে ভালোবাসা দিবসের মূল লক্ষ্য।

এতে করে প্রতিনিয়ত মানব সমাজের মধ্যে বিশৃংখলার পরিবেশ তথা সকল অশান্তিকে জন্ম দিয়ে স্বাগতম জানানো হয় ভালোবাসাকে নিয়ে। সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই সুদৃষ্টি রেখে উক্ত বিষয় গুলি বর্ষণ করে কিভাবে ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবী জয় করা যায় সেই স্লোগানকে সামনে রেখে অগ্রসর হওয়ার নামই হবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। 

বাংলাদেশের 14 ই ফেব্রুয়ারি 

বাংলাদেশে এ দিবস পালনে খুবই জনপ্রিয়তা শীর্ষে বর্তমান অবস্থান করছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজের কাছে এই দিনটি নিয়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত করে থাকে। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে উল্লেখিত 13 ফেব্রুয়ারি তারিখে বসন্ত উৎসব তথা পহেলা ফাল্গুন উদযাপিত হয়। পহেলা ফাল্গুনের ঠিক পরের দিন

অর্থাৎ 14 ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করা হয়। বিধায় এ দিবসটি অনেক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করা হয়ে  থাকে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস দিনটি পালন করার ক্ষেত্রে সামাজিক গণমাধ্যম যোগাযোগ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

বিভিন্ন ফুলের দোকান ফ্যাশন হাউস উপহারের দোকান ফাস্টফুড ওই দিনটি ঘিরে বিভিন্ন অফারের মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় করে থাকে। তাছাড়া টেলিভিশন বেতার কেন্দ্রের বিভিন্ন চ্যানেলে ভালোবাসা দিবসের গান ভালোবাসা দিবসের নাটক ইত্যাদি বিভিন্ন প্রোগ্রাম গুলি চালু থাকে ঐদিন।

হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস ডে পৃথিবীর সেরা মনীষীদের উক্তি এবং ইতিহাস

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *