বউয়ের ওপর নির্যাতন কিভাবে বন্ধ করা যায়?

বউয়ের ওপর নির্যাতন-বউ নিয়ে চিরন্তন সত্য বাণী আপনাদের কাছে উপস্থাপন করলাম। যা আপনি ধৈর্যসহকারে পড়লে আপনার জীবন হবে অত্যন্ত আনন্দঘন পূর্ণ একটি জীবন।

বউ শব্দটি কোথা থেকে আসলো এবং কিভাবে বউকে নিয়ে আপনার জীবন রঙিন করে সাজাবেন এবং বউয়ের প্রকারভেদ গুলো আমরা আপনাদের জন্য নিচে উপস্থাপন  করলাম।

বউ মা

এই শব্দটি পৃথিবীর সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে আজ অব্দি এবং পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচলিত থাকবে। তার প্রধান কারণ হচ্ছে, একজন বউ পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করার পর তার পরিবারের হয়ে থাকে আদরের সোনামণি অর্থাৎ মেয়ে।

তারপর যৌবনকালে পদার্পণ করার পর তার বাবা-মা একজন যোগ্য পাত্রের হাতে তার মেয়েকে তুলে দিয়ে থাকে। সে তখন ঐ পরিবারের একজন  বউ হয়ে যায়।

আবার কালের বিবর্তনে ওই মানুষটি ধীরে ধীরে একজন মায়ের ভূমিকা পালন করে থাকে। এই নিয়ম অনুযায়ী পৃথিবী সৃষ্টি থেকে ধ্বংস পর্যন্ত প্রচলিত থাকবে। 

বউয়ের ওপর নির্যাতন কিভাবে বন্ধ করা যায়?

বউয়ের ওপর নির্যাতন -একজন মেয়ে যখন বিয়ে হওয়ার পর তার স্বামীর ঘরে সংসার করে দিন যাপন করে।আর তখন সে বউ হয়ে যায়।

তখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় কালের বিবর্তনেবিভিন্ন কারণে ওই মেয়েটির ওপর পারিবারিক শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয়ে  থাকে।যা একজন মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষের ওপর এই জুলুম অত্যাচার নির্যাতন কখনোই একজন মানুষের কাম্য হতে পারে না।

তখনই নেমে আসে ওই সংসারের সকল প্রকার অশান্তি। অন্ধকারের কালো মেঘ মূর্তি ধ্বংস হয়ে যায় ওই পরিবার-পরিজন এর সকল চাওয়া পাওয়া এবং জীবন পরিচালনা । 

লক্ষী বউ

একটি সংসারে একজন মেয়ে মানুষ বিয়ের পর যখন তার স্বামীর ঘরে বউ হিসাবে চলে যায়। এবং কোন ঘটনা ক্রমে ওই বউয়ের দারা যদি তার সংসার এর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হতে থাকে। তখন ওই সংসারে  বউ হয়ে যায় একজন লক্ষী বউ।

অলক্ষী বউ

আবার যখন কোনো এক কারণে ঘটনাক্রমে যদি একটি পরিবারের একটি বউয়ের জন্য বিভিন্ন ঝগড়া বিবাদ করে অশান্তি সৃষ্টি হয়।

তখন ওই অলক্ষী বউ হয়ে যায়।সংসার জীবনের সকল ঘটনার একমাত্র দোষারোপের মালিক  যেন শুধুই একজন বউ।

যা বর্তমান প্রচলিত সমাজে খুবই ঘৃণিত একটি কাজ। একজন বিবেকবান মানুষ কখনোই এই কাজটি করতে পারে না।

পারিবারিক জীবনে সকল সমস্যার জন্য দায়ী হচ্ছে বউ

বর্তমান আমাদের এই প্রচলিত সমাজে তারা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় এবং সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করে থাকে পারিবারিক জীবনের সকল সমস্যার মানেই হচ্ছে ওই পরিবারের বউ।

যা মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়। এসকল কুসংস্কারের জন্য বর্তমান আমরা তথা সমাজব্যবস্থাই হচ্ছে  দায়ী।

কু সংস্কার মূলক কার্যাবলী

এ সকল ক্ষেত্রে আমরা আমাদের ইতিহাস থেকে স্পষ্ট আরো ভয়ঙ্কর কিছু কু সংস্কার মূলক কার্যাবলী দেখে থাকি। যে ক্ষেত্রে মেয়ে মানুষ মানেই হচ্ছে সকল দেশের একমাত্র মালিক হচ্ছে তারা।

তারা এ সংসারের সকল ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা এবং তাদের জন্য পূর্ব থেকেই যত ভয়ঙ্কর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা রয়েছে তার সকল শাস্তি তাদেরকেই ভোগ করতে হতো। এই সংস্কারমূলক কার্যাবলী এখনো নির্মূল হয় নাই আমাদের বর্তমান সমাজে।

যে ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে আরো ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে এই কুসংস্কার মূলক কার্যাবলী। যা কখনোই আমাদের এই বর্তমান মানব সমাজের জন্য মোটেও ভাল দিক নয়।

সমাধানের পথ

বউ নিয়ে সচেতনতা মূলক কার্যাবলী যেমন প্রত্যেকটি পরিবারকে এখন থেকে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে যে পূর্বপুরুষরা যে ভুল করেছে তারা কখনোই বর্তমান করা যাবে না।

যাতে করে প্রত্যেকটি পরিবার সচেতন হয়ে তাদের পরিবারের  বউদের প্রতি যথেষ্ট সম্মান শ্রদ্ধা ভালোবাসা সহানুভূতি সকল সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে,

আমাদের এই সমাজের ভয়ঙ্কর কার্যাবলী সমস্যা থেকে আমাদের সমাধানের পথ বের করে নিয়ে আসতে হবে। তবেই একটি পরিবার সুখী শান্তি-সমৃদ্ধি পথে এগিয়ে যাবে তথা সমাজ দেশ জাতির উন্নতির লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।

চিরন্তন সত্য বাণী

আপনার-আমার তথা পৃথিবীর সকল মানুষের একজন গর্ভধারিনী মা রয়েছে। আর এই মায়ের কারণেই একমাত্র আমরা এই সুন্দর পৃথিবীর আলো-বাতাস ভোগ করতে পারতেছি।

এককথায়, একজন মানুষ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে থাকে একমাত্র তার মায়ের গর্ভে ধারণ করে। তারপরেই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন ।সেক্ষেত্রে খুব সহজেই বোঝা যায় যে,

একজন মা মানেই হচ্ছে মেয়ে মানুষ কারো না কারো বউ কারো মেয়ে কারো বোন এভাবেই আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলে যাচ্ছে। তাই তাদের মাধ্যমে যেহেতু এই পৃথিবীতে আসা তাদের প্রতি কখনোই অসৎ কোন আচরণ করা মোটেও কাম্য নয়। Refarens-sportsnet24

 পরিশেষে

 উপরে উল্লেখিত বাণী গুলো এতটা গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা যদি আমাদের প্রত্যেকটি পরিবারে এরকম ভালো কিছু সচেতনতা মূলক কাজ মানবসমাজে তুলে ধরতে পারি। তাহলেই আমাদের এ সকল সমস্যা থেকে সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে। অন্যথায় কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *