
বিশ্ব হিজাব দিবস ২০২৩-হিজাব হচ্ছে একটি আরবি শব্দ এর অর্থ হচ্ছে আবৃত রাখা অর্থাৎ একজন মেয়ে মানুষের সকল সৌন্দর্যের দিক থেকে যেগুলো প্রকাশ পায় সে গুলোকে আবৃত করে রাখাকেই বলা হয়.
বিশ্ব হিজাব দিবস।
2013 সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ব হিজাব দিবস পালন করা হয়। তখন থেকেই মূলত বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম অমুসলিম নারীরা বিশ্ব হিজাব দিবস পালন করে থাকে।
এছাড়া বর্তমান বিশেষ করে মুসলিম ধর্ম অনুযায়ী পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট ভাষায় একটি বাণী প্রকাশ করা হয়েছে তা হচ্ছে যে, প্রত্যেক নারীরা তারা তাদের সর্বোচ্চ পর্দার সহিত জীবন যাপন করবে।
সে ক্ষেত্রে পবিত্র আল-কুরআনে আরো ভয়ঙ্কর নির্দেশনাবলী উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ কোন নারী যদি পর্দাশীল হয়ে না চলে তাকে পরকালে জাহান্নামের ভয়ংকর শাস্তি ভোগ করতে হবে।
এছাড়া প্রকৃতপক্ষে একজন নারীর সৌন্দর্য কখনোই প্রকাশ করা ঠিক নয়। বিশেষ করে বাহিরে যখন বের হবেন অবশ্যই তাদের পর্দাশীল হয়ে বের হতে হবে।
মূল প্রতিপাদ্য বিষয়
দিবস এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে যে, বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে আধুনিকতার ছোঁয়ায় সকল মানুষ অত্যন্ত বিশৃংখলা জীবন যাপন করছে।
তারই একটি প্রধান অংশ বর্তমান নারীরা তারা যদি তাদের সকল সৌন্দর্যের অংশটুকু আবৃত করে বর্তমান সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করে থাকে।
তাহলে সমাজের প্রচলিত যে সমস্যাগুলো প্রতিনিয়ত সম্মুখীন হচ্ছে নারীরা সকল দিক থেকে অবশ্যই তারা মুক্তি পাবে। এটাই হচ্ছে এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয়
নারীদের হিজাব নিয়ে ইসলাম ধর্মে যা উল্লেখ রয়েছে
নারীদের অত্যন্ত সতর্কতার সহিত পর্দাশীল হয়ে তারা সব সময় জীবন যাপন করবে এটাই ইসলাম ধর্মে উল্লেখ আছে। এছাড়া যারা পর্দাশীল হয়ে চলবে না তাদের জন্য ভয়ংকর এক বার্তা তা হচ্ছে পরকালে তাদের জন্য রয়েছে চির শাস্তিময় যে জায়গাটা তা হচ্ছে জাহান্নাম।
সমালোচনা
বিশ্ব হিজাব দিবস পালন করার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম নিউইয়র্কের এক বাসিন্দা নাজমা খান নামের এক মুসলিম নারীর মাথায় প্রথমে আসে। নাজমা খানের জন্ম বাংলাদেশে হলেও তিনি দীর্ঘ 11 বছর যাবৎ বাসিন্দা হয়ে বসবাস করছেন।
প্রথমতঃ
বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি ঝড়-ঝাপটার মধ্য দিয়ে এই নাজমা খান সর্বপ্রথম বিশ্ব হিজাব দিবস পালনের জন্য ডাক দিয়ে থাকেন। যার ডাকে সরা মেলে হাজারো মুসলিম অমুসলিম নারী।
এছাড়া তিনি যখন হিজাব মাথায় দিয়ে স্কুলে যেতেন তার সকল বন্ধুবান্ধব পরিচিতজন বিভিন্ন ভাষায় তাকে বিভিন্নভাবে অপমানিত হত।
তারপর তিনি বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীতে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি যখন প্রচার করতে থাকলেন।
তখন বিশ্বের প্রায় অসংখ্য দেশের মুসলিম অমুসলিম নারীরা তার ডাকে সাড়া দিয়ে এই বিষয়ে আসক্ত হয়ে তারা নিয়মিত এই দিবসটি পালন করে থাকে।বর্তমান পরিসংখ্যান মতে বিশ্বের প্রায় 140 টি দেশ বিশ্ব হিজাব দিবস পালন করে থাকে.
পরিশেষে
বিশ্ব হিজাব দিবস শুধু মুসলিম নারীদের ক্ষেত্রে নয়, অমুসলিম নারীদের ক্ষেত্রে সকল ধরনের ভয়ংকর সব বিপদ আপদ থেকে তাদেরকে হেফাযত করে রাখে। এটা সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণ হয়েছে তথ্য-পরিসংখ্যান বিশেষজ্ঞদের মতে। Refarens-sportsnet24