তিস্তা ব্যারেজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অজানা তথ্য আপনাকে জানতেই হবে
তিস্তা ব্যারাজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অজানা তথ্য আমরা যারা বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক তাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে।তিস্তা ব্যারেজ লালমনিরহাট জেলার অন্তর্গত হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ দোয়ানিতে অবস্থিত।উক্ত ব্যারেজের মূল সুইস গেটের সংখ্যা হচ্ছে 54 টি। উক্ত ব্যারেজের ওপর নির্ভর করে তার ভাটিতে প্রায় শত শত কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে তৈরি হয়েছে তিস্তা সেচ প্রকল্প।
উক্ত সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় জনগন তাদের সকল জমিতে ফসল ফলায় এবং সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে তারা পানির সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের এক পরিণয় ইতিহাস তা হচ্ছে তিস্তা ব্যারেজের উজানে অবস্থিত ভারতের গজলডোবা ব্রিজ যেখান থেকে আমাদের নিয়মিত তিস্তা তিস্তা সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে পানি দেওয়ার কথা।
কিন্তু সঠিক মৌসুমী কখনই তারা আমাদেরকে পানি দিয়ে থাকে না। যার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যায় উক্ত অঞ্চলের কৃষক শ্রমিক আপামর জনসাধারণ। যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাজার হাজার পরিবার তাদের জমিতে পানি সেচের মাধ্যমে ফসল ফলানো একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সে ক্ষেত্রে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে এই বিষয়ে একাধিকবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলেও কার্যকরী কোনো সিদ্ধান্তের কথা আমাদেরকে আজ পর্যন্ত জানানো হয়নি। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ একটি দেশ। প্রয়োজনের তাগিদে তারা একটু পানির ব্যবস্থা করলে।
যার ফলে হাজার হাজার পরিবার তথা তিস্তা ব্যারেজ জীবন ফিরে পায়। এটুকু তাদের মধ্যে সহানুভূতি হয়না। এছাড়া বর্ষার মৌসুমে যখন আমাদের পানির কোনো প্রয়োজন নেই। ঠিক তখন তারা সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রেসার দিয়ে আমাদের ওপর পানির প্রভাব ফেলে যার কারণে প্রতিবার বর্ষার মৌসুমে হুমকির মুখে পড়ে যায়।
এবং উজান ভাটিতে অসংখ্য মানুষের ঘরবাড়ি বিভিন্ন রকম আবাদি ফসল মুহূর্তের মধ্যে সব কিছু বিলীন হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই কার্যকরী একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা বিশেষ প্রয়োজন। কিন্তু আমরা যারা সচেতন মহল ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে এই বিষয়ে কাজ করে থাকি তাদের সুদৃষ্টি জ্ঞাপন করে আমি একটি কথাই বলবো, নদী বাঁচাও দেশ বাঁচাও দেশের জনগণ বাঁচাও নদী না বাচলে কখনোই দেশ এবং দেশের জনগণ বাঁচবে না।