
মা দিবস এবং পৃথিবীর সেরা সম্পদ হচ্ছে মা-“মা” শব্দটির শাব্দিক অর্থ হচ্ছে, যিনি দশ মাস দশ দিন তার গর্ভে একজন সন্তান ধারণ করে। তারপর এই পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করে থাকে এবং তাকে লালন পালন করে থাকেন।এমনকি সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে যে জননী এই পৃথিবী ছেড়ে চির বিদায় নিয়ে চলে যায়।
মায়ের উপমা সম্পর্কে এই পৃথিবীতে অনেক গবেষক জ্ঞানী এবং বিজ্ঞানী সকল ব্যক্তিবর্গের ধারণা অনুযায়ী মা শব্দটির ব্যাখ্যা মুখে বলে বিশ্লেষণ করে শেষ করা কখনোই সম্ভব নয়।
একজন নারী বা মহিলাসন্তান জন্ম দেওয়ার একমাত্র অধিকারিণী।গর্ভধারণের নেয় কঠিন জটিলতাসমূহ এবং সামাজিক ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সকল রীতিনীতি অনুযায়ী বিশ্বজনীন এই সংজ্ঞাটি সর্বজনীন গৃহীত হয়েছে।
মা দিবস
মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে 1914 খ্রিস্টাব্দে 8 মে মার্কিন কংগ্রেস।আর তখন থেকেই এই দিনটি সারা বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে মা দিবস।বিশ্বের প্রায় 46 টি দেশ এই দিবসটি পালন করে থাকে।
কথিত আছে,ব্রিটেনের এই প্রথম শুরু হয় এই বিশ্ব মা দিবস পালন।কেননা সেখানে প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার কে মাদার ইন সানডে হিসেবে পালন করা হতো।
কাব্য সাহিত্যে মা
যারা কাব্য সাহিত্য রচনা করে গেছেন তাদের সকল কাব্য সাহিত্যের ক্ষেত্রে মায়ের ভূমিকা ছিল অপরিসীম গুরুত্ব। সকল ক্ষেত্রে তারা মায়ের গুণাবলী বিশ্লেষণ করে গেছেন। এছাড়া অসংখ্য মাকে নিয়ে কাব্য সাহিত্য রচনা করে গেছেন সকল সাহিত্যিকগন।
গান
এই পৃথিবীতে সৃষ্টি লগ্ন থেকে আজ অবধি পর্যন্ত যত শিল্পী গান রচনা করে গেছেন সকল শিল্পীর কোনো না কোনো ক্ষেত্রে একটি অন্তত তার গর্ভধারিণী মায়ের গান গেয়েছেন।
এমন কোন শিল্পীর এই পৃথিবীতে নজির নেই যে সে মাকে নিয়ে একটি গান রচনা করেন নাই যা পৃথিবী ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী চলতে থাকবে।
কবিতা
অনেক মহাজ্ঞানী কবিরা তাদের কবির ভাষায় সর্বোচ্চ কবিতা মাকে নিয়ে লিখে গেছেন।যে সকল কবিগণ মাকে নিয়ে যত বেশী কবিতা লিখেছেন সে সকল কবি তাদের জীবনের সর্বোচ্চ সফলতা অর্জন করেছেন মাকে নিয়ে কবিতা লিখে।
উপন্যাস
এই পৃথিবীতে আজ অব্দি যত সংখ্যক উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে এমন কোন উপন্যাস নেই যেখানে মায়ের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়নি।
মাকে ঘিরে তাদের উপন্যাসের সকল লিখনীর ছবি যেন আগুনের লেলিহান শিখার মতো জ্বলে ফুটে উঠেছে।
ইসলাম ধর্মে মা
ইসলাম ধর্মের পবিত্র আল কোরআন এর বানী হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন একজন সন্তান তার পরবর্তী জীবনে মায়ের পায়ের নীচে হবে তার বেহেশ্ত।
এছাড়া তিনি আরও উল্লেখ করেছেন আমি ছাড়া যদি কাউকে সেজদা করার হুকুম দিতাম তাহলে তার মা-বাবাকে সেজদা করার জন্য নির্দেশ করতাম।
এছাড়া আরো কথিত আছে যে, একজন সন্তান যদি তার শরীরের চামড়া কেটে তার মায়ের পায়ের স্যান্ডেল তৈরি করে দেয় তারপরও সেই মায়ের দুধের একফোঁটা ঋণ শোধ করতে পারবে না।
হিন্দু ধর্মে মা
হিন্দু ধর্মের প্রধান একটি বাণী হচ্ছে তাদের সকল কিছুর পরিত্রান এবং মুক্তি লাভ করে থাকে একমাত্র মা।
তাই তারা মায়ের দোয়া টুকু পাওয়ার জন্য সকল কিছু মায়ের জন্য বিসর্জন করতে সবসময় প্রস্তুত থাকে।
এছাড়া চাঁদের হিন্দু ধর্মের যতগুলো গ্রন্থ রয়েছে সকল গ্রন্থের একটি বিশেষ বাণী তা হচ্ছে মায়ের সেবা যত্ন করে মায়ের জন্য সকল কিছু বিসর্জন দিয়ে তারপর জীবনের সফলতা অর্জন সম্ভব।
খ্রিস্টান ধর্মে মা
খ্রিস্টান ধর্মের ধর্মগ্রন্থে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ আছে যে একজন গর্ভধারিণী মায়ের সেবার কোন সন্তানের বিকল্প কোন কিছু নেই।
যদি তার ইহকাল পরকালের সফলতা লাভ করতে চায় তাকে অবশ্যই মায়ের সকল চাওয়া পাওয়ার সেবা-যত্ন সকল কিছু বিসর্জন দিতে হবে।
সন্তানের ভালোবাসা হচ্ছে মা
একজন সন্তান এই সুন্দর পৃথিবীর আলো-বাতাস উপভোগ করে থাকে একমাত্র তার মায়ের কারণে। মা তাকে গর্ভধারণ করে অতি কষ্টের সহিত এই পৃথিবীতে জন্ম দিয়ে তাকে লালন পালন করে সকল ত্যাগ-তিতিক্ষা বিসর্জন দিয়ে সন্তানের সাথে থেকে সন্তানকে প্রতিষ্ঠা করে। সে ক্ষেত্রে সন্তানের ভালোবাসার একজন মানুষই হচ্ছে এই পৃথিবীতে মা।
স্বার্থ ছাড়া ভালোবাসা
এই পৃথিবীতে স্বার্থ ছাড়া কোনো মানুষ একজন আরেকজনকে ভালোবাসা তো দূরের কথা তার কাছেও কখনো যেতে চায় না। এবং এর কোনো নজির নেই।
একমাত্র একজন ব্যক্তি স্বার্থ ছাড়া ভালোবেসে থাকে তা হচ্ছে একজন মা। তার সন্তানকে সম্পূর্ণ স্বার্থহীন ভালোবাসা দিয়ে উজাড় করে তার সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত মানুষ হিসেবে তৈরি করে থাকে।
পৃথিবীর সেরা সম্পদ হচ্ছে মা
একজন সন্তানের কাছে তার মা হচ্ছে এই পৃথিবীর সেরা সম্পদ। যা একবার হারিয়ে গেলে তা কখনোই ফিরে পাওয়া যায় না।
মায়ের দোয়া
এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি সন্তান মনে প্রাণে বিশ্বাস করে যে যেকোন ক্ষেত্রে তার জীবন পরিচালনার তাগিদে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে সাফল্যের পিছনে তা হচ্ছে মায়ের দোয়া।
এমনকি মায়ের দোয়া এই কথাটি সকল কাজের ক্ষেত্রে মানুষ ব্যবহার করে থাকে যাতে করে তার কাজের সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করতে পারে। Refarens-sportsnet24
পরিশেষে
মা শব্দটি নিয়ে পৃথিবীতে অনেক মহাজ্ঞানী বিশেষজ্ঞরা অনেক ভাষায় বিশ্লেষণ করে গেছেন যে মায়ের সাথে কখনোই একজন সন্তানের খারাপ আচরণ করা তার জীবনের কখনো কাম্য নয়।
তাই আসুন আমরা সকলে এই পৃথিবীতে সকল মাকে সম্মানের সর্বোচ্চ স্থানে বসিয়ে, তার কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়ে, জীবনের সফলতা লাভ করি।
আই লাভ ইউ “মা” বিশ্ব সেরা বার্তা