জীবনের ভয়ঙ্কর অধ্যায়
পৃথিবী যেদিন থেকে সৃষ্টি হয়েছে সেদিন থেকেই পৃথিবীতে মানুষ অর্থাৎ আদম হাওয়া সর্বপ্রথম আগমন করে থাকেন ।এই পৃথিবীর আলো-বাতাস প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবকিছু উপভোগ করে থাকেন সেখান থেকে আজ অব্দি আমরা যারা এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছি প্রত্যেকটা জীবের আবার মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়ে যেতে হয়।
এই মাঝখানের সময়টুকুর মধ্যে ঘটে যায় জীবনের নানা ঘটনা এবং সেই ঘটনা থেকেই আমার বাস্তব জীবনের এক রুপরেখা তুলে ধরছি ।যখন থেকে শিক্ষা গ্রহণ শুরু করি তখন থেকেই ধীরে ধীরে বুঝতে শিখি এই পৃথিবী বাস্তব রুপ রেখা ।শিক্ষাব্যবস্থায় শত ঝড় ঝাপটা পাড়ি দিয়ে যখন সহশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বাস্তব জীবনে পরিবার তথা সমাজ এ সবকিছুর দায় দায়িত্ব নিয়ে পথ চলা শুরু হয়।
ঠিক তখনই বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয় পড়াশোনা শেষ করে যখন একজন শিক্ষিত মানুষ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে একটা চাকরির জন্য ঘুরতে থাকে ঠিক তখন তাকে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয় ।আর সেই বাস্তবতা থেকেই তার জীবনে শুরু হয় শিক্ষা গ্রহণ।
সেই শিক্ষা থেকে আমি আমার জীবনে ভয়ঙ্কর এক অধ্যায় পাড়ি দিতেছি পড়াশোনা শেষ পৃথিবীতে বাবা নেই শুধু মা আমি আমার বউ এবং আমার সন্তান নিয়ে আমার পরিবার তারা যখন আমাকে প্রশ্ন করে কি উপায় পরিবার নিয়ে আমরা জীবনযাপন করব।
ঠিক তখনই আমার কাছে মনে হয় পৃথিবীর যত অন্ধকার কালো মেঘ হতাশা আমাকে গ্রাস করে ফেলে। তাদের প্রশ্নের কোন জবাব আমি দিতে পারি না ।এই ব্যর্থতার ভার আমার নাকি জাতির আমি অনেক উপায় পরিশ্রম করে সততার সাথে নিষ্ঠার সাথে এই পরিবারে দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নিয়ে পথ চলতে চেয়েছি।এটাই কি আমার অপরাধ ছিল শুধু একটা চাকরির জন্য অনেক পথ পাড়ি দিয়ে অনেক মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেফিরে আমি আমার উত্তর পাইনি।
তাই আমার জীবনের মতো এই ভয়ঙ্কর অধ্যায় কারো জীবনে আর যেন না আসে তাই যাই কিছু করি না কেন পরের উপরে ভরসা না করে নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রেখে পরিবার-পরিজন নিয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে আজ অব্দি বিশ্বায়নের যুগে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য চেষ্টা করছি।
আপনারা সবাই আমার পরিবার আমার জন্য দোয়া করবেন সৎ পথে হালাল রুজি রোজগার করে ইজ্জতের শহীদ পরিবার-পরিজন নিয়ে আমি যেন বাকি জীবনটা পাড়ি দিতে পারি এটাই আমার শেষ ভাষা