ইগো নিয়ে উক্তি । ইগো থেকে বাঁচার করণীয় কি?
ইগো নিয়ে উক্তি । ইগো থেকে বাঁচার করণীয় কি? ইগো শব্দটি শুধুই মানুষের জীবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে। এছাড়া ইগো হচ্ছে প্রতিটি মানুষ নিজের প্রতি অতিমাত্রায় নিজেকে উঁচু মনে করা। নিজেকে অনেক বড় মনে করে নিজের প্রতি অহংকার সৃষ্টি করা। একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ কোন কিছু না জানলে বা না পারলে তা স্বীকার করি জানার চেষ্টা করে থাকে, কিন্তু একজন ইগো মানুষ কখনোই তা স্বীকার করেন না কিংবা মেনে নিতে পারেন না। এখান থেকেই ধীরে ধীরে তার ভিতরে অনেক বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেখান থেকে সে কখনো আর ফিরে আসতে চায় না।
ইগো থেকে বাঁচার করণীয় কি?
ইগো থেকে পরিত্রাণ হওয়ার একটাই মাধ্যম, যখন কেউ ইগো মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করতে থাকবে, তার এই প্রকাশিত সকল কর্মকান্ড সম্পর্কে তাকে এমনভাবে অভিহিত করতে হবে, যাতে করে সে খুব সহজেই অনুভব করতে পারে যে, তিনি যা করছেন তা শুধু তার জীবনকে ধ্বংসই করতে পারে, কখনো সেখান থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
ইগো নিয়ে উক্তি
১। “ইগো মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু।” – ঋগ্বেদ
২। “ইগো তার নিজের ঘরে মাস্টার নয়।” – সিগমুন্ড ফ্রয়েড
৩। “ইগো ইচ্ছুক কিন্তু মেশিন চলতে পারে না।” – অ্যালান ওয়াটস
৪। “আপনি যে সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধে লড়াই করতে যাচ্ছেন তা হল শুধু আপনি হওয়ার যুদ্ধ।” – লিও বুস্কাগ্লিয়া
৫। “খুব বেশী ইগো আপনার প্রতিভা হত্যা করা হবে.” – বেনামী
৬। “ইগো ক্রমাগত আপনার অভ্যন্তরীণ কণ্ঠের উপর নিয়ন্ত্রণের জন্য আত্মার সাথে প্রতিযোগিতা করে।” – ড্যারেন জনসন
৭। “ইগো মানুষের চেতনার তাৎক্ষণিক নির্দেশ।” – ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক
৮। “ইগোবোধ হল চেতনানাশক যা মূর্খতার যন্ত্রণাকে নিস্তেজ করে দেয়।” – ফ্রাঙ্ক লেহি
৯। “এটি অহংকার ছিল যা ফেরেশতাদের শয়তানে পরিণত করেছিল; এটি নম্রতা যা মানুষকে ফেরেশতা হিসাবে তৈরি করে।” – সেন্ট অগাস্টিন
১০। “ইগো মহাশত্রু। অহংকার আপনাকে প্রতিবার আটকে রাখবে।” – জে-জেড
১১। “আমাদের অন্যদের প্রত্যাশা থেকে মুক্ত করতে, আমাদের নিজেদেরকে ফিরিয়ে দিতে – আত্মসম্মানের মহান, একক শক্তি রয়েছে।” – জোয়ান ডিডিয়ন
১২। “ইগো মানুষের এবং ঈশ্বরের মধ্যে একটি পর্দা।” – রুমি
১৩। “যতক্ষণ আপনি মনে করেন যে আপনার সমস্যার কারণ ‘বাইরে’ – যতক্ষণ আপনি মনে করেন যে কেউ বা অন্য কিছু আপনার কষ্টের জন্য দায়ী – পরিস্থিতিটি আশাহীন। এর মানে আপনি চিরকাল শিকারের ভূমিকায় আছেন, যে আপনি জান্নাতে কষ্ট পাচ্ছেন।” – বায়রন কেটি
১৪। “আপনার ইগো আপনার বন্ধু নয়।” – বেনামী
১৫। “ইগো হল একটি বানর যা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে বেড়াচ্ছে: ইন্দ্রিয়ের রাজ্যে সম্পূর্ণভাবে মুগ্ধ হয়ে, এটি একটি ইচ্ছা থেকে পরের দিকে, একটি দ্বন্দ্ব থেকে পরের দিকে, একটি আত্মকেন্দ্রিক ধারণা পরের দিকে দোলা দেয়।” – পেমা চোড্রন
১৬। যে কোনো বড় অর্জনের পথে ইগো গুলো সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা- রিচার্ড রোস
১৭। ইগো বলো শয়তানের একটু বড় হাতিয়ার যা অনেক বুদ্ধিমান ও যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষদেরকে খুব দ্রুত বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যায়- রেদওয়ান মাসুদ
১৮। ইগো মানুষের নিজেকে নিজে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাকে নষ্ট করে ফেলে- কলি্ন হাই টাওয়ার
১৯। একজন মানুষের ইগো ভাঙ্গার মুহূর্তের চেয়ে ভালো মুহূর্ত আর একটিও নেই- ববি ফিশার
২০। যাদের ইগো বড়, তাদের জানার ক্ষমতা ছোট- রবার্ট স্কুলার
২১। পৃথিবীর যাবতীয় বিবাদ, যুদ্ধ আর ব্যর্থতার জন্য যদি মাত্র একটি জিনিসকে দায়ী করা হয় তা হবে মানুষের ইগো- সংগ্রহীত
২২। আপনি হয় ঈশ্বরের কাছে সমর্থন করতে পারেন অথবা আপনার ইগোর কাছে জিম্মি হতে পারেন। এটা আপনার কল- ওয়েন ডায়ার
২৩। ইগো হলো বোকাদের বোকা হওয়ার যন্ত্রণা লুকানোর উপায়-ডক্টর হারবাট স্কোফিল্ড
২৪। নিজেকে আলাদা করার বড় কারণ এটা কি আপনি, নাকি আপনার ইগো- প্রবাদ বাক্য