ঢাকা টু খুলনা ট্রেন নতুন সময়সূচী এবং ভাড়া
ঢাকা টু খুলনা ট্রেন নতুন সময়সূচী এবং ভাড়াঃ বাংলাদেশের এক জরিপে দেখা গেছে যে, একজন যাত্রী সবসময় বিশেষ প্রয়োজনে বাংলাদেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন।
যাতায়াতের সবচেয়ে পছন্দনীয় মাধ্যমটি হচ্ছে ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত করা। এছাড়া ট্রেনে যাতায়াতের প্রধান কারণটি হচ্ছে, এতে কোন প্রকার দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম অর্থাৎ নেই বললেই চলে এবং আরামদায়ক জার্নি।
আপনারা যারা ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনের সময়সূচী এবং ভাড়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে বিভিন্ন সাইটে অনুসন্ধান করে থাকেন তাদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন করে অর্থাৎ ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন অনুযায়ী নতুন আপডেট সময়সূচী এই পোস্টে সুন্দর করে উল্লেখ করলাম আপনাদের জন্য।ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেন নতুন সময়সূচী এবং ভাড়া
এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমনঃ- ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে, চাকরির ক্ষেত্রে, আত্মীয়-স্বজন পরিবারের সাথে দেখা করার ক্ষেত্রে যখন আপনারা ঢাকা থেকে খুলনা যাতায়াতের জন্য ঢাকা রেল স্টেশন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে টিকেট বুকিং দিয়ে আসতে হয়। শত ঝামেলার মধ্যে অনেক সময় ব্যস্ততার ক্ষেত্রে এই সময়টুকু পাওয়া খুব কঠিন হয়ে যায়।
ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেন নতুন সময়সূচী এবং ভাড়া
সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বর্তমান এই ট্রেনের সময়সূচী এবং ভাড়া আরো বিস্তারিত তথ্য জেনে টিকেট বুকিং করতে পারবেন।
সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এই লিংকে নিচের আমাদের ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনের সময়সূচী এবং নির্ধারিত ভাড়া উল্লেখ করা হয়েছে এই ওয়েবসাইটে সেখান থেকে আপনি সহজে অনলাইনে টিকেট বুকিং করতে পারবেন।
ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব
ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিসংখ্যান অনুযায়ী 404 কিলোমিটার। কিন্তু বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী 271 কিলোমিটার।রেলপথের সংযোগ বিভিন্ন স্থান দিয়ে ঘুরে ফিরে এঁকে বেঁকে যাওয়ার কারণেই দূরত্ব অনেক বেশি দেখানো টাই স্বাভাবিক। এছাড়া সবচেয়ে নিরাপদ উপায় ঝুকিমুক্ত জার্নি করতে চাইলে আপনি ট্রেনে খুলনা যাতায়াত করতে পারেন।
ঢাকা টু খুলনা ট্রেন
ঢাকা টু খুলনা নিয়মিত আন্তঃনগর দুটি ট্রেন যাতায়াত করে থাকে। সে ক্ষেত্রে আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য দুটি ট্রেনের বিবরণ তুলে ধরলাম।
সুন্দরবন এক্সপ্রেস (ট্রেন কোড 726)
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ,ঢাকা থেকে সরাসরি খুলনার উদ্দেশ্যে যারা ট্রেনে যাতায়াত করবেন তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় যুগোপযোগী বিলাসবহুল একটি ট্রেন সুন্দরবন এক্সপ্রেস এ ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল আটটায় খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়ে যায় এবং তা খুলনায় পৌঁছায় বিকাল 5 টা 40 মিনিটে। সুন্দরবন এক্সপ্রেস সপ্তাহে ছয়দিন চলাচল করে থাকে। এছাড়া সপ্তাহে একদিন ছুটির দিন ট্রেন বন্ধ থাকে। উক্ত সাপ্তাহিক ছুটির দিনটি হচ্ছে বুধবার।
উক্ত ট্রেনটি খুলনা যেতে সর্বমোট ২০ টি স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিয়ে থাকে। কোন কোন স্টেশনে ধারাবাহিকতা অনুসারে যাত্রাবিরতি দেয় নিচে উল্লেখ করা হলো। ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রথমে দৌলতপুর তারপরে নয়াপাড়া ওরে যশোর জংশন তারপরে মোবারকগঞ্জ তারপরে কোটচাঁদপুর তারপরে দর্শনা তারপরে চুয়াডাঙ্গা তারপরে আলমডাঙ্গা
তারপরে পোড়াদহ জংশন তারপরে ভেড়ামারা তারপরে ঈশ্বরদী জংশন তারপরে চাটমোহর তারপরে বড়ালব্রীজ তারপরে উল্লাপাড়া তারপরে জামতৈল জংশন তারপরে এম মনসুর আলী জংশন তারপরে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব তারপরে মৌচাক তারপরে জয়দেবপুর জংশন তারপরে ঢাকা বিমানবন্দর রেল স্টেশন।
চিত্রা এক্সপ্রেস (ট্রেন কোড 763)
চিত্রা এক্সপ্রেস ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কুমিল্লা নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে সবচেয়ে বিলাসবহুল আন্তঃনগর ইন্টারসিটি ট্রেন ট্রেনে জার্নি করলে কখনোই পরিবহনের মাধ্যমে যাতায়াত করতে চাবেন না। সেক্ষেত্রে চিত্রা এক্সপ্রেস সন্ধ্যা 7 টায় কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয় এবং খুলনা ভোর রাত 3 টা 10 মিনিটে পৌঁছায়। উক্ত ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটির দিন হচ্ছে সোমবার।
ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনের নতুন সময়সূচী
ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনের যাতায়াতের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী সামর্থ্য অনুযায়ী কোন টিকেট বুকিং করলে সুবিধা হবে এবং এর ভাড়া মূল্য কত ইত্যাদি সকল বিষয়ে তথ্য জানা বিশেষ প্রয়োজন তাই এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনাদের জন্য নিচে উপস্থাপন করলাম।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নতুন সময়সূচী প্রকাশ করেছে। সেই সময় সূচি অনুযায়ী আপনাদের যাতায়াত করতে হবে। এছাড়া সপ্তাহের ছয়দিন এই ট্রেন নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে এবং নির্দিষ্ট একটি দিন বন্ধ থাকে।
সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, অনলাইনে টিকেট বুকিং করলে আপনি সহজেই যে তথ্যগুলো পাবেন রেল ইস্টিশনে উপস্থিত থেকে কখনোই সেই তথ্যগুলো আপনি পরিপূর্ণভাবে পাবেন না।
সেক্ষেত্রে আমি একটা কথাই বলবো যদি নিরাপত্তার শহীদ সচ্ছন্দে যাতায়াত করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই ওয়েবসাইটে সময়সূচী এবং ভাড়া এই সকল তথ্য জেনে টিকেট বুকিং করতে হবে।
আরওপড়ুন>>>ঢাকা থেকে পোড়াদহ ট্রেনের নতুন সময়সূচী এবং ভাড়া
আরওপড়ুন>>>ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ ট্রেনের নতুন সময়সূচী এবং ভাড়া
আরওপড়ুন>>>ঢাকা থেকে যশোর ট্রেনের নতুন সময়সূচী এবং ভাড়া
আরওপড়ুন>>>ঢাকা থেকে কুমিল্লা ট্রেনের নতুন সময়সূচী এবং ভাড়া
আরওপড়ুন>>>ঢাকা থেকে পঞ্চগড় ট্রেনের নতুন সময়সূচী এবং ভাড়া
আরওপড়ুন>>>ঢাকা থেকে নাটর ট্রেনের নতুন সময়সূচী এবং ভাড়া
ট্রেনের নাম ছাড়ার সময় পৌঁছায় ছুটির দিন
চিত্রা এক্সপ্রেস(৭৬৪) ১৯:০০ ০৩:৪০ সোমবার
সুন্দরবন এক্সপ্রেস(৭২৬) ০৮:১৫ ১৭:৪০ বুধবার
উপরে উল্লেখিত ট্রেনের সময়সূচী নির্ধারিত সময়ে যাতায়াত করে থাকে। তাই আপনি চাইলে অনলাইনে টিকেট বুকিং করে যেতে পারবেন। ট্রেনে ওঠার সময় অবশ্যই আপনাকে সংগ্রহীত টিকেট হাতে নিয়ে উঠতে হবে।
ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনের নির্ধারিত টিকেট মূল্য
আপনারা যারা ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনে যাতায়াত করবেন। তাদের জন্য নিচে উল্লেখিত নির্দিষ্ট পরিমাণের ভাড়া উল্লেখ করা হয়েছে। এই ভারা পরিশোধ করে আপনি আপনার কাঙ্খিত স্থানে যাতায়াত করতে পারবেন।Refarens-sportsnet24
আসন বিভাগ টিকিটের মূল্য
এসি সিট ১০৭০টাকা
এসি বার্থ ১৫৯৯টাকা
শোভন ৩৯০টাকা
শোভন চেয়ার ৪৬৫টাকা
প্রথম আসন ৬২০টাকা
প্রথম বার্থ ৯৩০টাকা
স্নিগ্ধা ৮৯১টাকা
পরিশেষে,
আপনারা যারা নিয়মিতভাবে ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনের যাতায়াত করে থাকেন। তাদের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ একটি তত্ত্ব হচ্ছে, বর্তমান অনলাইনের এই দুনিয়ায় আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইনে টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন।
এছাড়া ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার সবচাইতে আরামদায়ক মাধ্যমটি হচ্ছে ট্রেন। এই ট্রেন ছাড়া আপনি অন্য কোন মাধ্যমে যদি ঢাকা থেকে খুলনা যেতে চান সেখানে খুবই ভোগান্তি পোহাতে হয় যা দীর্ঘ সময় লেগে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই নগণ্য।