জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রক্রিয়া-২০২৪
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রক্রিয়া-২০২৩-একজন শিশু যখন তার মায়ের কল থেকে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে তখন অবশ্যই আমাদের বাংলাদেশের পরিসংখ্যান এর নিয়ম অনুযায়ী ওই শিশুটির নাম নিবন্ধন করতে হবে। তবেই আমরা আমাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ব্যাখ্যা করতে পারব যে আমাদের এই বাংলাদেশ প্রতিদিন গড়ে কতজন শিশু জন্মগ্রহণ করে ।
একজন শিশু জন্মের পর প্রয়োজন 45 দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা। আমরা বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে খুব সহজে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রক্রিয়া অনলাইনের আবেদন ফরম পূরণ করে একজন শিশু নিবন্ধন করতে পারি। এছাড়া বাংলাদেশের প্রচলিত আইন নিয়ম-কানুন অনুযায়ী শিশু নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা পৌরসভা অথবা সিটি কর্পোরেশন মেয়র কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কারণ ছিল অথবা অন্য কোন কর্মকর্তা এবং দূতাবাসসমূহে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন অফিসার জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করে থাকেন
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রক্রিয়া
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রক্রিয়া এছাড়া এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে আপনি যদি এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ফর্ম ডাউনলোড করে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধনের জন্য দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন তা নিচে উল্লেখ করা হলো। শিশু যদি কোন হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করে থাকে সেই হাসপাতালে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মাধ্যমে অবশ্যই আপনাকে ছাড়পত্র নিতে হবে। সেই ছাড়পত্র দাঁড়া একজন শিশু জন্ম নিবন্ধন করা যাবে।
অথবা জন্ম নিবন্ধনের জন্য নিবন্ধনকারী এস এস সি এর সনদ এর ফটোকপি অথবা এলাকার জনপ্রতিনিধি যেমন ওয়ার্ড কমিশনার অথবা ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভার চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিক সনদ পত্রের ফটোকপি।
জন্ম নিবন্ধন কী?
জন্ম নিবন্ধন হলো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৯ নং আইন) এর আওতায় একজন মানুষের নাম, লিঙ্গ, জন্মের তারিখ ও স্থান, বাবা-মায়ের নাম, তাদের জাতীয়তা এবং স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারিত নিবন্ধক কর্তৃক রেজিস্টারে লেখা বা কম্পিউটারে এন্ট্রি প্রদান এবং জন্ম সনদ প্রদান করা।
জন্ম নিবন্ধন কি কি কাজে লাগে-২০২৩
জন্ম সনদ একজন মানুষের জন্ম, বয়স, পরিচয় ও নাগরিকত্বের প্রমাণ। রাষ্ট্রের স্বীকৃত নাগরিকের মর্যাদা ও সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে হলে কিছু ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদর্শন করা বাধ্যতামূলক। যেমন-
১) পাসপোর্ট ইস্যু
২) বিবাহ নিবন্ধন
৩) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি
৪) সরকারী, বেসরকারী বা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় নিয়োগদান
৫) ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু
৬) ভোটার তালিকা প্রণয়ন
৭) জমি রেজিষ্ট্রেশন
৮) ব্যাংক হিসাব খোলা
৯) আমদানি ও রপ্তানী লাইসেন্স প্রাপ্তি
১০) গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি
১১) ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি
১২) ঠিকাদারী লাইসেন্স প্রাপ্তি
১৩) বাড়ির নকশা অনুমোদন প্রাপ্তি
১৪) গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তি
১৫) ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি
১৬) জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি
জন্ম নিবন্ধন না করলে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়
১) বর্তমানে স্কুলগুলোতে ভর্তির সময় বয়স প্রমাণের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ চাওয়া হয়। অনেক সময় জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকার কারণে মেধা থাকা সত্ত্বেও ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়া সম্ভব হয় না।
২) অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে শিশুরা নানা ধরনের কিশোর অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে বা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। এক্ষেত্রে বিচার শুরু করার আগে বা শাস্তি প্রদানের আগে তার বয়স প্রমাণের প্রয়োজন হয়। এজন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ মূল ভূমিকা পালন করে।
৩) পড়াশোনা, জীবিকা, ব্যবসা, ভ্রমণ, চিকিৎসা সহ বিভিন্ন কারণে বিদেশে যেতে প্রয়োজন হয় পাসপোর্টের। পাসপোর্টের আবেদন ফরমের সাথে যেসকল কাগজপত্র জমা দিতে হয় তার মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ অন্যতম। জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকলে পাসপোর্ট তৈরি করা যায় না।
৪) ভোট প্রদান করা সকল নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে ভোটার আবেদন ফরমের সাথে বয়স প্রমাণের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিতে হয়। জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকলে ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করা যায় না, ফলে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
৫) সরকারী চাকরি বা স্বায়ত্তশাসিত চাকরির ক্ষেত্রেও বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করতে হয়। এক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকলে মেধা থাকা সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি হাতছাড়া হয়ে যায়।
৬) বিয়ের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিয়ের সময় বয়স প্রমাণের জন্য এটি ভূমিকা পালন করে। তাই এটি ব্যতীত বিয়ের মতো সামাজিক কাজেও বাধা আসে।
৭) সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের পর রেজিষ্ট্রেশনের সময় জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়। এই সনদ না থাকলে এক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
৮) সরকারী-বেসরকারী সেবা ও সম্পদের বরাদ্দ পাওয়া যায় না।
ব্যবসা-বাণিজ্য ভালোভাবে করা যায় না।
জন্ম সনদ তৈরি বা জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া-২০২৩
জন্ম নিবন্ধন তৈরির নিয়ম হলো নির্ধারিত আবেদন ফরম (ছাপানো বা হাতে লিখা হলেও চলবে) পূরণ করে নিবন্ধকের নিকট কিছু দলিল বা প্রত্যয়নসহ গিয়ে আবেদন করা। এছাড়া অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবে।
যা যা লাগবে-
(নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির বয়স পাঁচ বছরের মধ্যে হলে)-
তথ্য সংগ্রহকারীর প্রত্যয়ন।
অথবা, ইপিআই কার্ডের সত্যায়িত অনুলিপি।
অথবা, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বা উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত জন্ম সংক্রান্ত সনদের সত্যায়িত অনুলিপি।
অথবা, নিবন্ধক যেরূপ প্রয়োজন মনে করেন জন্ম সংক্রান্ত সেরূপ অন্য কোন দলিলের সত্যায়িত অনুলিপি।
অথবা, তথ্য সংগ্রহকারী হিসাবে নিবন্ধক কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোনো এনজিও কর্মীর প্রত্যয়ন।
(নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির বয়স পাঁচ বছরের বেশি হলে)-
বয়স প্রমাণের জন্য এমবিবিএস ডাক্তারের এবং জন্মস্থান বা স্থায়ীভাবে বসবাসের স্থান প্রমাণের জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর/সদস্যের প্রত্যয়ন।
অথবা, বয়স ও জন্মস্থান প্রমাণের জন্য তথ্য সংগ্রহকারী হিসাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক বা তৎকর্তৃক মনোনীত শিক্ষক বা কর্মকর্তার প্রত্যয়ন।
অথবা, বয়স ও জন্মস্থান প্রমাণের জন্য ইপিআই কার্ড বা পাসপোর্ট বা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা কোনো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের জন্ম সংক্রান্ত ছাড়পত্র বা উক্ত প্রতিষ্ঠান হইতে প্রাপ্ত জন্ম সংক্রান্ত সনদের সত্যায়িত অনুলিপি।
অথবা, নিবন্ধক যেরূপ প্রয়োজন মনে করেন জন্ম সংক্রান্ত সেরূপ অন্য কোন দলিলের সত্যায়িত অনুলিপি।
অথবা, তথ্য সংগ্রহকারী হিসাবে নিবন্ধক কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোন এনজিও কর্মীর প্রত্যয়ন।
জন্ম তথ্য প্রদানকারী কারা?
শিশুর পিতা বা মাতা বা অভিভাবক শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম সংক্রান্ত তথ্য নিবন্ধকের নিকট প্রদানের জন্য দায়ী থাকবেন।
এছাড়া যারা কোনো ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধনের জন্য নিবন্ধকের নিকট তথ্য প্রেরণ করতে পারবেন:
১) ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং সচিব;
২) গ্রাম পুলিশ;
৩) সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার কাউন্সিলর;
৪) ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন অথবা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী ও পরিবার কল্যাণকর্মী;
৫) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেক্টরে নিয়োজিত বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের (এনজিও) মাঠকর্মী;
৬) কোনো সরকারী বা বেসরকারী হাসপাতাল বা ক্লিনিক বা মাতৃসদন বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে জন্মগ্রহণের ক্ষেত্রে উহার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার অথবা ডাক্তার বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা;
৭) নিবন্ধক কর্তৃক নিয়োজিত অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী;
৮) জেলখানায় জন্মের ক্ষেত্রে জেল সুপার বা জেলার বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি;
৯) পরিত্যক্ত শিশুর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা;
নির্ধারিত অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান।
জন্ম নিবন্ধন কোথায় করবেন?
ব্যক্তির জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমানে বসবাস করছেন এমন যেকোনো স্থানের নিবন্ধকের কাছে জন্ম নিবন্ধন করানো যাবে। জন্ম নিবন্ধনের জন্য যারা নিবন্ধক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন:
১) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা সদস্য;
২) পৌরসভার মেয়র বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কাউন্সিলর;
৩) সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা কাউন্সিলর;
৪) ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা; ও
৫) বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসারগণ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনসমূহে সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনে প্রধান কার্যালয়ে এবং নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে পুরাতন পৌরসভা কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ জন্ম নিবন্ধকের দায়িত্ব পালন করছেন।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম-২০২৩
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে হলে http://bris.lgd.gov.bd/pub/?pg=application_form এই লিংকে গিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। আপনার এলাকা কোন জোন ও কোন ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত তা জানতে এই লিংক থেকে পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে দেখে নিতে পারেন:http://br.lgd.gov.bd/files/Dhaka%20city%20zonal%20office.pdf
Refarens-sportsnet24
বিভাগ, জেলা প্রভৃতি ধাপ পার হয়ে ওয়ার্ড পর্যন্ত নির্বাচন করার পর স্ক্রিনে একটি অনলাইন ফরম আসবে। অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ফরম প্রথমে বাংলায় (ইউনিকোড) ও পরবর্তীতে ইংরেজিতে পূরণের পর প্রয়োজনীয় সম্পাদনা করে সংরক্ষণ বাটনে ক্লিক করতে হবে। সংরক্ষণ বাটনে ক্লিক করলেই আবেদন পত্রটি সংশ্লিষ্ট নিবন্ধক কার্যালয়ে স্থানান্তরিত হয়ে যাবে,
আবেদনকারীর আর কোনো সংশোধনের সুযোগ থাকবে না। এরপর পরবর্তী ধাপে প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করলে আবেদন পত্রের মুদ্রিত কপি পাওয়া যাবে। সনদের জন্য ১৫ দিনের মধ্যে উক্ত আবেদনপত্রের মুদ্রিত কপি ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপিসহ নিবন্ধক অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন ফি কত টাকা-২০২৩
শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। শিশু জন্মের ২ বছরের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন না করালে বাবা-মায়ের জন্য জরিমানা আছে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কোনরকম ফি ছাড়া জন্ম নিবন্ধন করার সুযোগ দেয়া হয়। এ সময় বাড়ানো হয়েছিল ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত।
এ সময়ের মধ্যে দেশের অধিকাংশ শিশু জন্ম নিবন্ধনের আওতায় এসেছে। জুনের পর জন্মনিবন্ধনের জন্য সরকার একটি ফি ধার্য করেছে। তবে ২ বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্মনিবন্ধন যেকোন সময় বিনা ফিতে করানো যাবে। শুধু ২ বছরের বেশি সময় পার হলে এই ধার্যকৃত ফি দিতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফি কত টাকা-২০২৩
মৃত্যু নিবন্ধন প্রক্রিয়া-২০২৩
একজন মানুষ পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করার পর ওই দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তার জন্ম নিবন্ধন করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে যখন তিনি এই পৃথিবী ছেড়ে চির বিদায় নিয়ে ওপারে চলে যান তারপর বিভিন্ন প্রয়োজনে যখন ওই মৃত ব্যক্তি নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করা প্রয়োজন হয়।
তখন আমরা আমাদের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভার চেয়ারম্যান অথবা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অথবা বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে জন্ম সনদ দেখিয়ে মৃত্যু নিবন্ধন ফরম সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
এছাড়া যদি তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আমরা কোথাও খোঁজ না করে ইন্টারনেটে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে মৃত্যু নিবন্ধন ফর্ম ডাউনলোড করে সেই আবেদন ফরমের তার বিস্তারিত জন্ম ও মৃত্যু তারিখ উল্লেখ করে উক্ত নিয়ম অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করা হয়ে থাকে ।
মৃত ব্যক্তি নিবন্ধন শোনো সনদ সংগ্রহ করে আমরা আমাদের দেশের নির্বাচন কমিশনের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সকল কাজের ক্ষেত্রে এই নিবন্ধন সনদ দেখিয়ে কার্যাবলী সম্পন্ন করতে পারি তাই একান্তভাবে একজন মানুষের জন্ম সনদ যেমন বিশেষ প্রয়োজন তেমনি মৃত ব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন বিশেষভাবে প্রয়োজন।
মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম-২০২৩
মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম * করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারী আবেদন ফরম ডাউনলোড করে নির্ধারিত ফরমের সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে। অন্যথায় সম্ভব নয়।