
সম্মানিত ভিউয়ার্স স্বাগতম শিশু ও মাতৃত্ব ভাতা আবেদন, ভাতার যোগ্যতা, টাকার পরিমাণ এবং শিশু পাঠ সম্পর্কে আলোচিত আর্টিকেলে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে দরিদ্র পরিবারের গর্ভবতী মা ও শিশুকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য একটি ভাতা চালু করেছেন। এই ভাতা স্বল্প মেয়াদের জন্য। মাসিক 350 টাকা হারে দুই বছর অথবা 24 মাসে চারবার টাকা দিয়ে থাকেন। আপনি যদি শিশু ও মাতৃত্ব ভাতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য ইচ্ছুক তা হলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে জানতে সহযোগিতা করবে।
শিশু ও মাতৃত্ব ভাতা আবেদন-২০২৩
শিশু ও মাতৃত্ব ভাতার জন্য আবেদন করতে হলে অনলাইনে বাংলাদেশ শিশু এবং মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অর্থাৎ mowca.portal.gov.bd তে গিয়ে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করে সাবমিট করতে হবে ।এবং পরবর্তীতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপজেলাধীন কর্মকর্তা আপনার সত্যতা যাচাই পূর্বক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত করবেন।
এরপর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবং আপনার কাঙ্খিত ভাতা মন্ত্রণালয় কর্তৃক বরাদ্দ হলে একটি শিশু কার্ড আপনাকে দেওয়া হবে যার মাধ্যমে আপনি অতি সহজেই মোবাইল ব্যাংকিং অথবা চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
আবেদন ফরম ২০২৩
ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা
দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা’’ প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা, মার্চ, ২০১১ অনুযায়ী বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। এখন জেনে নেওয়া যাক মাতৃভাতা পাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগবে।
ক. প্রথম বা দ্বিতীয় গর্ভধারণকাল (যেকোনো একবার)।
খ. বয়স কমপক্ষে ২০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে।
গ. মোট মাসিক আয় ১৫০০/- টাকার নিম্নে।
ঘ. দরিদ্র প্রতিবন্ধী মা অগ্রাধিকার পাবেন।
ঙ. কেবল বসতবাড়ি রয়েছে বা অন্যের জায়গায় বাস করে।
চ. নিজের বা পরিবারের কোনো কৃষি জমি, মৎস্য চাষের জন্য পুকু নেই।
ছ. উপকারভোগী নির্বাচনের সময় অর্থাৎ জুলাই মাসে উপকারভোগীকে অবশ্যই গর্ভবতী থাকতে হবে।
জ. প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভের সন্তান গর্ভাবস্থায় বা জন্মের ২ (দুই) বছরের মধ্যে মারা গেলে তৃতীয় গর্ভধারণকালে ভাতা প্রাপ্য হবেন।
ঝ. একজন ভাতাভোগী জীবনে একবার ২ (দুই) বছর সময়কালের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা পাবেন।
ঞ. কোনো কারণে সন্তানের মৃত্যু হলে অথবা গর্ভপাতের কারণে নির্দিষ্ট চক্র অসম্পূর্ণ থাকলে তিনি পুনরায় গর্ভবতী হলে পরবর্তীতে ২ (দুই) বছরের মাতৃত্ব ভাতা প্রাপ্য হবেন, যদি অন্যান্য শর্ত পূরণ হয়ে থাকে।
-বর্ণিত শর্তসমূহের মধ্যে কেউ ক, খ ও ছ সহ কমপক্ষে ৫ (পাঁচ)টি শর্ত পূরণ করলে তার নাম প্রাথমিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে এবং অধিকতর দরিদ্র অগ্রাধিকার পাবেন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা/উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্তৃক গর্ভকালীন সনদ নাগরিক সনদ ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত সনদ এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ।
এছাড়া জানার জন্য পড়তে পারেন আজকের জনপ্রিয় সেরা আর্টিকেল
মানব সৃষ্টির রহস্য কি ? একবার জানুন
বিদায় হজের ভাষণ এবং আরো মহা মূল্যবান কথা
তিস্তা ব্যারেজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অজানা তথ্য আপনাকে জানতেই হবে
পৃথিবীর একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইজরাইল সম্পর্কে কিছু ভয়ঙ্কর আজব ও অজানা তথ্য
কালোজিরার অলৌকিক গুন না পড়লে বিশ্বাস করতে পারবেন না
কিভাবে আপনার পরিবারকে ভালো রাখবেন না জানলে সমস্যা
মা বাবার অবাধ্য সন্তান করুণ পরিণতি জানলে কোনদিন এই কাজটি করবেন না
পরিবারের সব সময় অশান্তি লেগে থাকে কেন আসুন জেনে নেই
কিয়ামতের ভয়ঙ্কর কিছু আলামত পাওয়া গেছে