তিন বিঘা করিডর
তিন বিঘা করিডর হচ্ছে বহুল আলোচিত বাংলাদেশ তথা ভারতের শেষ সীমানায় অবস্থিত একটি জায়গা। এই করিডর বর্তমানে বাংলাদেশের একটি জেলা লালমনিরহাট জেলার অন্তর্গত পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা তথা ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের সবচাইতে বড় সিটমহল ও আঙ্গরপোতা।
ছিটমহলের তৎকালীন পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের সাথে যোগাযোগের জন্য একটি প্যাসেজ ডোর এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। যা বর্তমানে তিন বিঘা করিডর নামে পরিচিত লাভ করেছে। পাকিস্তান আমল পেরিয়ে বাংলাদেশ আমল পর্যন্ত তিন বিঘা করিডর হস্তান্তর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি পর্যায়ে অনেক বৈঠক এবং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
1985 সালের পর থেকে দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা সিট মহল পাটগ্রাম উপজেলার একটি স্বতন্ত্র ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়। 1989 সালে উনিশে আগস্ট এখানে ইউনিয়ন পরিষদ শুভ উদ্বোধন করা হয়।
1992সালে 26 শে জুন ইজারার মাধ্যমে উক্ত তিন বিঘা করিডর বাংলাদেশকে প্রদান করা হয়। তবে শর্ত প্রযোজ্য এই করিডর এর গেট সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এক ঘন্টা খোলা আবার এক ঘণ্টা বন্ধ এই শর্তে এক ঘন্টা পর পর করিডর দিয়ে বাংলাদেশীদের যাতায়াতে সুযোগ করে দেওয়া হয়।
অতঃপর করিডর দিনরাত 24 ঘন্টা খোলা রাখার জন্য নানাভাবে দাবি উত্থাপিত হয় 2001 সালে 27 শে এপ্রিল থেকে তা সকাল 6:30 হতে সন্ধ্যা 6 টা 30 মিনিট পর্যন্ত খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়।
সর্বশেষ গত 6 সেপ্টেম্বর 2011 সালে ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বৈঠকে স্বাক্ষরিত চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশীদের যাতায়াতের জন্য তিন বিঘা করিডোর বর্তমানে 24 ঘন্টা খোলা রাখা হয়েছে।
2015 সালের ছিট মহল বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হয়। তিন বিঘা করিডর কিভাবে যাবেন লালমনিরহাট জেলা সদর থেকে বাস অথবা ট্রেন যোগে পাটগ্রাম উপজেলা হয়ে তিন বিঘা করিডোর যাওয়া যায়।