ক্ষুধার রাজ্যে বসবাস
ভাত দে হারামজাদা তা না হলে মানচিত্র খাব। এটি একটি বাংলা প্রবাদ বাক্য। এখান থেকে আমাদের একটি চরম শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে কেউ পেটের খুদায় পাগল হয়ে একটু খাওয়ার জন্য দুয়ার থেকে আরেক দুয়ারে ঘুরে কিন্তু কোথাও তার খাবার মেলেনা আবার একই মানুষ আমরা পেটের ক্ষুধার বিপরীতে মনের ক্ষুধা নিয়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে কিভাবে মনের ক্ষুধা নিবারণ করা যায় ।
সেই পথে হাঁটে।কিন্তু গুগোল এর কাছে আমার প্রশ্ন পৃথিবীর সব প্রান্ত যদি ঘুরে নিজের চেষ্টায় মনের পিপাসা টুকু মিটানো যেত তাহলে মানুষ কি কর…
বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি তথা বিশ্বায়নের যুগে বিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এবং তাদের সহায়তায় আমরা খুব সহজেই দেখতে পারি একজন মানুষ পৃথিবীতে আসার পূর্ব মুহূর্তটুকু
অর্থাৎ মাতৃ গর্ভে যখন আসে তখন থেকেই শুরু হয় তার খাওয়া অর্থাৎ মাতৃগর্ভ থেকেই খোদার অনুভব হয় সেখানেই মহান সৃষ্টিকর্তার সম্পূর্ণ সহযোগিতায় একজন মানুষ পরিপূর্ণ হয়ে পৃথিবীতে আসে। পৃথিবীতে আসার পর থেকেই শুরু হয় তার জীবনের পথ চলা।
খুদা একজন মানুষের মায়ের কোল থেকে অর্থাৎ দোলনা থেকে মৃত্যুর পর কবর পর্যন্ত অর্থাৎ মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তার খাওয়ার চেষ্টা থাকে ক্ষুধা নিবারণ দুইভাবে হয়ে থাকে একটি হচ্ছে মানুষের পেটের ক্ষুধা যেটা বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী দাঁড়া তৃপ্তি লাভ ক’রে থাকে তখন পর্যন্ত তার খোদা নিবারণ হয় আরেক প্রকার ক্ষুধা হচ্ছে মানুষের মনের খোদা এ খোদা পিপাসা মেটাতে আমরা প্রতিনিয়ত ছুটে বের হচ্ছি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
মনের ক্ষুধা বিষয়টা হচ্ছে সীমাহীন এখানে আমার ব্যক্তিগত মতামত থেকে বলছি কখনোই মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত একজন মানুষের ক্ষুধা নিবারণ হয়না চাহিদা তার অপূর্ণতা থেকে যায় যতটুকুই পাই মনে হয় কারো চাই আরো পায় এই চাওয়া পাওয়ার হিসেব মিলাতে গিয়ে আমরা রক্তমাংসে গড়া এই মানুষ পশুর সমতুল্য হয়ে যাই।
কারণ একটাই শুধুই চাই চাই চাই। তাইতো আমার পরিভাষায় আমি বলতে চাই পৃথিবী মানুষ যদি যার যতটুকু সামর্থ্য আছে সেটুকু নিয়ে যদি সে সন্তুষ্ট হইত তবে সে সুখ লাভ করত কিন্তু কখনই আমাদের যতটুকু আছে তাই নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই আমাদের সবসময় মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন তাড়া করে বেড়ায় খুদা পেটের ক্ষুধা মনের ক্ষুধা আরো অনেক উদার অনুভব নিয়ে আমরা মানুষ বিভিন্ন ভাবে পথ চলতে থাকি।
যে পথ অনেক ক্ষেত্রেই ভুল দিকে নিয়ে যায় পরিশেষে আমাদের এই ক্ষুধার রাজ্যে বসবাস করতে গিয়ে মানুষ আমরা পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট আচরণ করি। আপনারা প্রতিনিয়ত হই ইন্টারনেটের যুগে ফেসবুক গুগোল হোয়াটসঅ্যাপ বিভিন্ন নেটের মাধ্যমে সকল ধরনের পরামর্শ সুযোগ-সুবিধা এই ওয়েবসাইট সার্চ করে খুব সহজেই আপনি পেয়ে যাবেন।
বাস্তবতার বর্তমান এই প্রেক্ষাপটে আমি মন থেকে উদারভাবে বলতে চাই আমরা যারা মানুষ এই পৃথিবীতে এসেছি আবার চলে যান এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমাদের যতটুকু প্রয়োজন ক্ষুধা নিবারণের জন্য ততটুকু নিয়েই আমরা সন্তুষ্ট থাকি ভালো থাকি তাহলে আমাদের মনের শারীরিক সকল ধরনের শান্তি আমাদের ভিতরে আসবে কিন্তু যখনই আমরা মনে করি
যে এই দুনিয়ায় শুধু আমি আমার জন্য চাই অনেক কিছু চাই সেটা যেকোন কিছুর বিনিময় এই মন মানসিকতায় আজকে আমরা আমাদেরকে অসুস্তি করে ফেলেছি। আমরা হয়ে গেছি মানুষ রুপি জানোয়ার। সুতরাং এখান আমাদের উত্তর একমাত্র উপায় নিজে যতটুকু আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা ।
পরিশেষে আমার একটাই কথা বর্তমান আমরা যারা এই ইন্টারনেটের যুগে বসবাস করছি তারা সবাই দয়া করে আমার এই ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো ধরনের তথ্য আপনারা সার্চ করে পেয়ে যাবেন ।